Bangladesh
একাত্তরের গণহত্যা: পাকিস্তানের বিচার চাইলেন নুজহাত চৌধুরী
নিউ দিল্লীঃ� বাংলাদেশের শহীদ-বুদ্ধিজীবী আলীম চৌধুরীর কন্যা ড. নুজহাত চৌধুরী একটি আন্তর্জাতিক� প্ল্যাটফর্মে যোগ দিয়ে� একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও সরকারের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার আন্তর্জাতিক হলোকস্ট স্মরণ দিবসে উনি এই দাবি জানান।
ওনার সাথে দেশ-বিদেশের নামী প্যানেলিস্টরা এক মত হয়েছেন।
উনি দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভাতে এই মন্তব্য করেন।
ভারতের ‘জম্মু ও কাশ্মির ইউনিটি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন এই আলোচনাসভাটি আয়োজন করেছিল।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টোরিয়ান বব ব্ল্যাকম্যান, ফরাসি লেখক ফ্রাসোয়াঁ গঁতিয়ে, কাশ্মিরি অ্যাকটিভিস্ট অজয় চ্রুঙ্গু, ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষক নীতিন গোখলে, বালোচিস্তান গবেষক সন্ধ্যা জৈন প্রমুখ বক্তারা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রত্যেকেই এই আলোচনাসভায় পাকিস্তানকে একটি ‘জেনোসাইডাল নেশন’ বা গণহত্যাকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বালোচ, শিয়া হাজারা, কাশ্মিরি পন্ডিত বা আফগানদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনার মদতে দশকের পর দশক ধরে যেভাবে নির্বিচার গণহত্যা চালানো হয়েছে সে জন্যই এইভাবে পাকিস্তানকে বর্ণনা করেন তারা, বাংলা ট্রিবিউন নিজেদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ড. নুজহাত চৌধুরী বলেন, "পাকিস্তানিদের সেই গণহত্যাকে ভুলিয়ে দেওয়ার হাজারো চেষ্টা হয়েছে, আজও হচ্ছে। পাকিস্তান বলেছে যা হয়েছে তা হয়ে গেছে, এখন আমরা দুই দেশই মুসলিম ভ্রাতৃত্বের বোধে এগিয়ে যাই চলো। কিন্তু তারা একবারের জন্যও ক্ষমা চায়নি, সেই গণহত্যার জন্য একজন পাকিস্তানি জেনারেলেরও বিচার হয়নি।"
“যে কোনও আঘাতেরই তো একটা ‘ক্লোসার’ দরকার। একজন চিকিৎসক হিসেবে বলতে পারি, ঠিকমতো নিরাময় না-হলে ক্ষতস্থানের ব্যথা কিন্তু রয়েই যায়। আর এখানে তো আমরা দেখি, গণহত্যার ত্রিশ লাখ ভিকটিমের সংখ্যাটাও কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা হতে থাকে অবিরত," উনি বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই যে বাংলাদেশে অবশেষে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, তাদের অনেকের ফাঁসি পর্যন্ত হয়েছে এবং বিএনপি-জামাত শাসনামলে তা স্বপ্নেও ভাবা যেত না– সে কথাও মনে করিয়ে দেন নুজহাত চৌধুরী, প্রতিবেদনে বলা হয়।