Bangladesh
গার্ডারচাপায় নিহত: ক্ষতিপূরণের ২০ লাখ টাকা পাবে কে?
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২১ জানুয়ারি ২০২৩: রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের গার্ডারচাপায় প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহতের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (সিজিজিসি) ঢাকার সিএমএম আদালতের সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা জমা দিয়েছে। নিহত নুর ইসলামের স্ত্রীদের সৃষ্ট জটিলতায় এই টাকা হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না পরিবারের অন্য সদস্যদের।
পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা একটি ওয়ারিশনামায় একসঙ্গে চার স্ত্রী ও তিন সন্তানের কথা উল্লেখ আছে। অন্যদিকে আরেক স্ত্রীর দাখিল করা ওয়ারিশনামায় দুই স্ত্রীকে বাদ দিয়ে বাকি সদস্যদের রাখা হয়েছে। এই ওয়ারিশনামা অনুযায়ী উত্তরাধিকারী পাঁচজন। এই জটিলতার কারণে আদালত থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়নি। আদালত ওয়ারিশদের বিষয়টি তদন্ত করে থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২২ সালের ১৫ আগস্ট বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হন। ওই গাড়িতে থাকা নবদম্পতি গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যায়। নিহতরা হলেন আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫), ফাহিমা আক্তার (৩৮), ঝর্না আক্তার (২৭), ঝর্না আক্তারের দুই শিশুসন্তান জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)। এ ঘটনার রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্না আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
মামলার পর হেভি ইকুইপমেন্ট সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ইফসকন বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. ইফতেখার হোসেন, হেড অব অপারেশন মো. আজহারুল ইসলাম মিঠু, ক্রেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিল্ড ট্রেডের মার্কেটিং ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন মৃধা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার মো. জুলফিকার আলী শাহ ও মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, ক্রেনচালক মো. আল-আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়, রাকিব হোসেন, মো. আফরোজ ও ট্রাফিকম্যান মো. রুবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে দশ আসামিই জামিনে। মামলাটির তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছে নিহতের পরিবার।