Bangladesh
মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১: সমগ্র জাতি ১৬ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বীর সন্তানদের স্মরণ করেছে যাদের রক্তের বিনিময়ে দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটেছিল এবং বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষেরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উৎখাত, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিসহ সকল ‘অন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ রুখে দেয়ার দাবি জানান।
নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। সেই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে উদযাপিত হয়েছে। বিকেলে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের জনগণকে একযোগে শপথ বাক্য পাঠ করান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সারাদেশের সব জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে একযোগে সবাই জাতীয় শপথ পাঠ করছেন। এ সময়ে মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজনের প্রথম দিন বৃহষ্পতিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
কৃতজ্ঞ জাতির সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এর আগে সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সমবেত হয়। শোক আর রক্তের ঋণ শোধ করার গর্ব নিয়ে উজ্জীবিত জাতি দিবসটি উদযাপন করে অন্য রকম অনুভূতি নিয়ে। শীতের কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস উপেক্ষা করে সর্বস্তরের মানুষ ভোর থেকেই সাভারে স্মৃতিসৌধের বাইরে ও আশপাশের মহাসড়ক এলাকা এবং ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে সমবেত হতে থাকে।
ভোরের সূর্য ওঠার আগেই ফুল, মাথায় বিজয় দিবস লেখা ব্যান্ড, জাতীয় পতাকা নিয়ে স্মৃতিসৌধে নেমেছিল জনতার ঢল। বিনম্র চিত্তে সমগ্র জাতি ত্রিশ লাখ শহীদকে আরো একবার জানিয়ে দিল ‘আমরা তোমাদের ভুলবো না।’
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।