Bangladesh
করোনা মোকাবিলায় ৬৭৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৬ জানুয়ারি ২০২১: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বাড়াতে আরও ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার, যেখানে টিকা আমদানি, সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য থাকছে সোয়া চার হাজার কোটি টাকার বেশি। আর তাতে ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস’ প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের বরাদ্দ বেড়ে ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা হচ্ছে বলে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস’ প্রকল্পটি সংশোধন করে টিকা কেনার জন্য এই অর্থায়ন অনুমোদন দেওয়া হয়।
শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, “গত এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আজকের বৈঠকে অতিরিক্ত ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা বাড়িয়ে সংশোধন করা হল।”
এই অতিরিক্ত অর্থায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংক ৫০ কোটি ডলার এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ১০ কোটি ডলার দেবে। আর সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৭২ কোটি টাকার যোগান দেবে বলে জানান মন্ত্রী।
সংশোধিত প্রকল্পে টিকা কেনা, পরিবহন, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা খরচ মিলিয়ে ৪ হাজার ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য অবকাঠামো বৃদ্ধি, চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাসহ অন্যান্য কাজে বাকি টাকা ব্যয় হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী টিকা পাওয়া যাবে। আমরা আশা করছি এবং বিশ্বাস করি, ভ্যাকসিন আমরা পাব।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্বাস্থ্য সেবা সচিব মো. আব্দুল মান্নানের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আমদানির জন্য যে চুক্তি হয়েছিল, সেটি জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) চুক্তি ছিল, না সেরাম ইনস্টিটিউট আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি ছিল।
উত্তরে সচিব আবদুল মান্নান বলেন, “ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়া যাই হোক না কেন, আমরা সময় মত তা পাব ।”
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ অনুমোদন পাওয়া এই প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে।
তিনি বলেন, দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী ১৩ কোটি ৭৬ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। এর অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা আমদানি করা হচ্ছে।