Bangladesh
প্রত্যেক উপজেলায় হবে ফায়ার স্টেশন
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৯ নভেম্বর ২০২০: ২০২১ সাল নাগাদ আরও ১২৯টি নতুন ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬৫টি। এছাড়া আরও ১১টি আধুনিক মডেল ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২০’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে স্থাপিত ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ৪৩৬টি। ২০২১ সাল নাগাদ আরও ১২৯টি নতুন ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে। এগুলো স্থাপিত হলে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬৫টি। এছাড়া আরও ১১টি আধুনিক মডেল ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের জনবল বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ফায়ার সার্ভিসের জনবল ছিল ৬ হাজার ১৭৫ জন। বর্তমানে মোট জনবলের সংখ্যা ১৩ হাজার ১০০ জন। এই জনবল ২৫ হাজারের অধিক করার জন্য অর্গানোগ্রামের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বঙ্গবন্ধু ফায়ার একাডেমি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি চালু হলে আমাদের কর্মীদের দেশেই উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হবে। শুধু তাই নয় বিদেশ থেকেও লোকজন এসে এখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে, এখানে সেই ক্যাপাসিটি থাকবে। একসময় ফায়ার সার্ভিসের নয়তলা পর্যন্ত অগ্নি নির্বাপণের সক্ষমতা ছিল। বর্তমানে সেই সক্ষমতা ২০তলা পর্যন্ত, আগামী বছর ২২তলা পর্যন্ত সক্ষমতা অর্জন করবে। আগে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ গাড়ি ছিল পাঁচটি, এখন সেই গাড়ির সংখ্যা ১০৮টি। প্রতিটি ফায়ার স্টেশনে পর্যায়ক্রমে অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হবে।’
মানুষ ফায়ার সার্ভিসকে বিপদের বন্ধু মনে করে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘সড়কে বা নদীতে যেখানেই দূর্ঘটনা দেখেছি সেখানেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেবা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি এই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের সঙ্গে জনসাধারণের সম্পৃক্ততা বাড়বে।’