Bangladesh
ইনস্টিটিউট হচ্ছে শিশু হাসপাতাল, আইন চূড়ান্ত অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১০ মার্চ ২০২১: শিশু হাসপাতালকে ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করা হচ্ছে। এজন্য ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২১’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন মন্ত্রীরা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিকভাবে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠু পরিচালনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষার মানোন্নয়ন, আর্থিক বিষয়াদির জবাবদিহিতা ও উন্নত সেবা নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন প্রণয়ন করা হয়। এটার বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকবে সেটা হলো- শিশুদের শারীরিক ও মানসিক সেবা নিশ্চিতকরণ এবং মানোন্নয়ের উদ্দেশ্যে সংবিধিবদ্ধ একটি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা লাভ করা। রিসার্চসহ সব রকমের লেখাপড়ার বিষয়টি থাকবে এখানে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘শিশুর জন্য পুষ্টিমূলক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক কার্যক্রম শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষাগার ব্যায়ামাগার ও শিশুকর্নার থাকবে। প্রস্তাবিত আইনে একটা কমিটি ও পরিচালনা বোর্ড থাকবে, এটা কম্পোজিশন এখানে মেনশন করে দেয়া হয়েছে।’
এছাড়া হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিশেষায়িত শিশু চিকিৎসা বিষয়ে স্নাতকোত্তর বা স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ও মেডিক্যাল টেকনোলজির বিষয়ে স্নাতক ও ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করতে পারবে। এছাড়াও কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা করতে পারবে যেটা আগে ছিল না। শিশু বা মাতৃস্বাস্থ্য এ সংক্রান্ত কোনো সার্টিফিকেট বা প্রশিক্ষণ পরিচালনা বা সনদ করতে পারবে বলে খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমান হাসপাতালকে আধুনিক করা হবে নাকি নতুন আরেকটা করা হবে জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘শিশু হাসপাতালকেই ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করা হলো। আপাতত ১০০টি সিট এখানে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও যদি কার্যক্রম বাড়ানো লাগে- যেমন কোর্স বাড়ানো, শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি রিসার্চ কার্যক্রম করার জন্য তখন বোর্ড যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবেই হবে।’