Bangladesh
সরকার আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায় : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায়।
তিনি দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করে বলেন, দেশবাসী চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করুক সেটাই আমরা চাই। আর যদি কেউ না করে সেটা যার যার দলের সিদ্ধান্ত সেজন্য আমাদের সংবিধান তো আমরা বন্ধ করে রাখতে পারি না। সংবিধানের ধারা অনুযায়ী দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ভারত সফর করেন। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন সরকারপ্রধান।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ থাকবে না একক ভাবে অংশগ্রহন করবে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ ভাবে করবে না একক ভাবে করবে তা সময়ই বলে দেবে।
তিনি বলেন, আমরা ১৪ দল করে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছি। জাতীয় পার্টি আলাদা নির্বাচন করেছে। তবে, আমাদের সঙ্গে সমঝোতায় ছিল। কিন্তু, ভবিষ্যত নির্বাচনে কে কোথায় থাকবে তাতো সময়ই বলে দেবে। আর আওয়ামী লীগ উদারভাবে কাজ করে, এর দরজা খোলা।
তিনি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এত কাজ করার পর জনগণ নিশ্চই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে, সেটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। যদি এই চলমান উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখতে চান, না চাইলে তো কিছু করার নেই। সেটা জনগণের ইচ্ছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে যারা সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল তারা আমাদের সাথে থাকবে এতে কোন আপত্তি নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যে কোন নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনোনয়নে পরিবর্তনটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ক্ষেত্র মতে আমরা যাচাই করে দেখবো কার জেতার সম্ভাবনা আছে কার নেই তাছাড়া এখনও নির্বাচনের এক বছরেরও বেশি সময় বাকী আছে। সময় যত যাবে ততই বিষয়টা পরিস্কার হবে। আমাদের সঙ্গে কে থাকবে, কে থাকবে না বা নতুন জোট হবে কি হবে না, আর নতুন জোট হলে হোক, অসুবিধা নাইতো, বলেন প্রধানমন্ত্রী।