Bangladesh
সরকার দেশকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর ২০২২ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তুলছে যেখানে সবার সমান অধিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের (খ্রিস্টান সম্প্রদায়) সবাইকে বলছি, আমরা এই বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক দেশের চেতনায় গড়ে তুলছি যেখানে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যোগদান করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে একক ধর্মের মানুষ নেই, সব ধর্মের মানুষ এখানে বসবাস করছে। আমরা সকল ধর্মীয় বিশ্বাসের কল্যাণের জন্য কাজ করি।
যীশু খ্রিস্ট মানব কল্যাণ ও মানবধর্ম অনুসরণের শিক্ষা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন, যা আপনি তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়া চিন’ এর মাধ্যমে দেখতে পাবেন। যে কোনো সমস্যা দেখা দিলেই তাঁর সরকার সবসময় সবার পাশে দাঁড়িয়েছে’, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি দেশের সব মানুষের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হিজড়াদের (তৃতীয় লিঙ্গ) জন্য তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন, কারণ, বাংলাদেশের সংবিধান অনগ্রসর এই জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষিত করেছে।
তিনি বলেন, আমরা সংবিধানে তাদের (হিজড়াদের) অধিকার সুরক্ষিত করেছি। শুধু তাই নয়, ইসলাম ধর্ম হিজড়াদের তাদের জীবনধারা যেমন পুরুষ নারীর মতো অধিকারও নিশ্চিত করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন চাকরি, সব ধরনের পরিচয়পত্র বা পরিচয়পত্রের মতো প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। ‘আমরা তাদের স্বীকৃতি দিয়েছি।’
সমস্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে বাড়ি দেওয়ার জন্য তার সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা হিজড়াদের জীবনযাত্রার মান ও জীবিকা উন্নত করতে তাদের বাড়িও দিচ্ছেন।
শেখ হাসিনা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলেন, তিনি নটরডেম কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার পরামর্শ দিয়েছেন কারণ এটি একটি স্বনামধন্য কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। এখন এটাকে বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। আমরা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং আমরা এটা করি যাতে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার পায়।