Bangladesh
তারেকের সাজা নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে কোন আলোচনা হয়নি: আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৪ আগস্ট ২০২৩ : বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজার বিষয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান ব্রিটিশ হাইকমিশনার। সাক্ষাৎ শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিন মাস আগে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসনের স্থলাভিষিক্ত হন সারাহ কুক। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ডিএফআইডি) বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান ছিলেন কুক।
আইনমন্ত্রী বলেন, সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেওয়ার পর আমার সঙ্গে এটিই তার প্রথম সাক্ষাৎ। তিনি যখন এখানে ডিএফআইডির প্রধান ছিলেন তখন আমার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। এটি তার রুটিন সাক্ষাৎ। হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় সবার সঙ্গেই দেখা করছেন, এরই ধারাবাহিকতায় আমার সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে তার আগের এরিয়া (ডিএফআইডি) নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। তিনি নিজে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে অত্যন্ত খুশি। নিজেই সেটা জানিয়েছেন। বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
এর আগে গত বুধবার ঘোষিত আয়ের বাইরে সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে দুদকের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই ধারায় ৯ বছর এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তারেককে ৩ কোটি ও জোবায়দাকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অপ্রদর্শিত সম্পদ হিসেবে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারক।
এ নিয়ে পাঁচটি মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজার রায় দিয়েছেন আদালত। গত প্রায় ১৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন তারেক রহমান।
সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনের গভর্নেন্স উপদেষ্টা রফিকুজ্জামান, ব্রিটিশ হাই কমিশনের দ্বিতীয় সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ভেনেসা বিউমন্ট উপস্থিত ছিলেন।