Bangladesh
হলমার্ক কেলেঙ্কারি: চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২০ মার্চ ২০২৪ : হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী এবং গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। দুই ধারায় একটায় সাত বছর আরেকটায় দশ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয় তাদের। বাকি ৭ জনের ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অন্য একজনের ৫ বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত।
গত ১২ মার্চ দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ১৯ মার্চ ঠিক করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদসহ এ মামলার আসামি ১৯ জন।
মামলায় অস্তিত্বহীন ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসামিরা। মামলায় আদালত চার্জশিটের মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। সাজার রায় শুনে আদালত থেকে পালালেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
এদিকে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের করা মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার আদালত থেকে পালিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। জামিনে থাকা আসামি মো. জামাল উদ্দিন সরকার রায় শুনতে আদালতে হাজির হন। ওকালতনামায় স্বাক্ষরও করেন তিনি। আদালত তাকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। সাজার রায় শোনার পর এক ফাঁকে আদালত থেকে পালিয়ে যান তিনি। এ বিষয়ে জামাল উদ্দিনের আইনজীবী হারুন অর রশিদ বলেন, তিনি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পেছনে তাকিয়ে দেখি তিনি নেই।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজিব দে জানান, এ মামলায় আসামি জামাল জামিনে ছিলেন। আজকে হাজিরা দিয়েছেন। রায়ের পর তাকে না পাওয়ায় তার জামিন বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।