Bangladesh
বাংলাদেশ-ভারত দিল্লীতে হাসিনা-মোদি বৈঠক ১০ সেপ্টেম্বর
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে দুই দিনব্যাপী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের শেষ দিন ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৈঠক শেষ করে ওইদিন রাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে পরদিন ঢাকায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারতের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে এটিই হচ্ছে শেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। এই বৈঠকের সময় সদ্য নির্মিত আখাউড়া-আগরতলা এবং মোংলা-খুলনা রেললাইন উদ্বোধন করতে পারেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনগুলোর একটি জি-২০ কে সামনে রেখে বাংলাদেশ ‘অলআউট’ প্রস্ততি নিচ্ছে। সম্মেলনে বাংলাদেশ কি বলবে, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ কীভাবে ঘটাবে- তার সব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে ওই সম্মেলনে বাংলাদেশ দুটো অংশে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর একটি হচ্ছে, সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এবং পরের অংশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
এদিকে রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘জাতিসংঘ পানি সম্মেলন-২০২৩’ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সম্মেলনের ফাঁকে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। উচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে তিস্তা নদীর হিস্যা আলোচনা করে এসেছি বা রেখেছি। এবারও আশা করছি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি তুলবেন। পাশাপাশি অন্য ইস্যুও তো আছে আমাদের।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমাদের ৫৪টা অভিন্ন নদী আছে। গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি আছে, সেটাও (আলোচনায়) তোলা হবে। সব বিষয়ে আমাদের যৌথ নদী কমিশন এবং অন্যরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
হাসিনা-মোদীর বৈঠকে আন্তঃরাষ্ট্রীয় নদী নিয়ে আলোচনা হবে কি না এবং আজকের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা আলাদা করে আলোচনা করিনি। কিছুটা সাইডলাইনে বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি।’
