Bangladesh
বায়তুল মোকাররমে পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতির মুখে বিক্ষোভ থেকে সরে গেল হেফাজত
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২ এপ্রিল ২০২১: হেফাজতের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অপ্রীতিকর ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের আগে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অপরদিকে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট ও পশ্চিম পাশে অবস্থান নেন র্যাব সদস্যরা। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের ভেতরেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া পুরানা পল্টনে প্রস্তুত রাখা হয় সাঁজোয়াযানসহ কারাভান। তবে পূর্বঘোসিত বিক্ষোভ কর্মসূচী থেকে হেফাজত বাহিনী সরে আসায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে হেফাজত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বায়তুল মোকাররম এলাকা।
ওইদিন জুমার নামাজের পরপরই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। মোদিবিরোধী মিছিলে উত্তাল বায়তুল মোকাররম এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এদিকে, পূর্বঘোষণা অনুসারে শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
তবে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা থাকলেও সে কর্মসূচি থেকে সরে আসে সংগঠনটি।
সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার আতঙ্কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘরে কোনো পুরুষ থাকতে পারছেন না। কিন্তু প্রকৃত দোষীরা গ্রেফতার হচ্ছে না। উল্টো ওইদিনের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার-হয়রানি করা হচ্ছে।’
জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘যিনি মাদরাসায় হামলা করলেন, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ককটেল মারলেন, গুলি করে মানুষ হত্যা করলেন, তাদের কিছুই হচ্ছে না। আমরা তাদের গ্রেফতার চাই।’
তিনি বলেন, ‘করোনা আতঙ্কের কথা বলে এখন মাদরাসা বন্ধের পাঁয়তারা চলছে। গত রমজানের মতো তারাবি ও নামাজ বন্ধের পাঁয়তারা চলছে। এ দফায় এমন করা হলে কঠোর আন্দোলন হবে। ধর্মপ্রাণদের জুজুর (করোনা) ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।’
হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেন, ‘সরকার হেফাজতের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নাটক বানাচ্ছে। মাদরাসা থেকে ছুরি উদ্ধার করে ছাত্রদের সন্ত্রাসী বানাতে চাচ্ছে। সেগুলো কোরবানির ছুরি ছিল। যেগুলো না হলে দেশের পশুপাখির গোশত হালালভাবে খেতে পারতেন না।’