Bangladesh

ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২০ সপ্টেম্বর ২০২৩ : কর্মস্থল, এয়ারপোর্ট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিং মলের মতো জনসমাগমস্থলে এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে এই প্রথম ৯ মাসের কোনো শিশুর রিটের বিপরীতে এমন রায় দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রায় প্রদানকারী দুই বিচারপতি- জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও কাজী ইবাদত হোসেনের স্বাক্ষরের পর ৬ পৃষ্ঠার রায়টি প্রকাশ করা হয়।
হাইকোর্ট রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ। এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই যে, একটি শিশুর জন্মের পর থেকে ২ বছর পর্যন্ত তার মাতৃদুগ্ধ প্রয়োজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মায়েরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং রুমের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।
শপিং মল, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, লঞ্চ ঘাটসহ সকল পাবলিক প্লেসে ব্রেস্ট ফিডিং রুম থাকা প্রয়োজন যাতে সকল মা তার শিশুদের মাতৃদুগ্ধের ব্যবস্থা করতে পারেন। কোনো মা ও শিশু যেন এই রিটের পিটিশনারদের মতো পীড়াদায়ক পরিস্থিতিতে না পরে।
রায়ে আদালত আরও বলেন, ব্রেস্ট ফিডিং রুমগুলো আলোবাতাসের সুব্যবস্থাসহ নিরাপদ ও সুসজ্জিত হতে হবে এবং মায়েরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে করতে পারে।
রায়ে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেলেন, তারা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে যা এই কোর্ট প্রশংসা করে। যদিও ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং রুম করা হয়েছে তবুও অন্যান্য পাবলিক প্লেসে তা করে যেতে হবে। আদালত আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ দ্রুততম যৌক্তিক সময়ের মধ্যে মায়েদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং রুম স্থাপনের সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আদালতে রায়ের পর্যবেক্ষণে এই জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় আদালতে উপস্থাপনের জন্য পিটিশনার আইনজীবী ইশরাত হাসানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। রায়ের শেষে আদালত উল্লেখ করেন, এর আগে কখনোই ৯ মাস বয়সী শিশু রিট দায়ের করেনি। এই শিশু ইতিহাস সৃষ্টি করল।