Bangladesh
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ
শনিবার (১৮ জুলাই) বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
অলি দাবি করেন, হিন্দুদের অন্যতম অবতার রাম নেপালের রাজপুত্র ছিলেন এবং অযোধ্যা নেপালে অবস্থিত।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অলির এই দাবির জন্য তাকে তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানান। অনুষ্ঠানে জোটের সদস্যরা বলেন, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এ জাতীয় বক্তব্য কেবল শ্রী রাম চন্দ্রের প্রকৃত জন্মস্থান অর্থাৎ প্রতœতাত্ত্বিক প্রমাণকেই অস্বীকার করেছে। কোটি কোটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করেছে। অধিকন্তু, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এ জাতীয় বিতর্কিত বক্তব্য কেবলমাত্র ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি নয়, সমগ্র হিন্দু সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বিশ্বাসকে নষ্ট করার দুরসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্র।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেপালের প্রধানমন্ত্রী অলির বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায়। এরপর হিন্দু ধর্ম সুরক্ষা পরিষদ নামে অপর একটি সংগঠন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অলির বক্তব্যে প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক স্বামী সংগীতানন্দ মহারাজ (প্রণব মঠ, ঢাকা)। মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, ইউআরআই বাংলাদেশের সমন্বয়কারী ডঃ মোহাম্মদ আবদুল হাই, অধ্যাপক ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস (বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি), বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, নেপালের সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি দীর্ঘকাল থেকেই হিন্দু ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত। কিন্তু নেপালের প্রধানমন্ত্রী অলি প্রথমে ভারতের বিরুদ্ধচারণ এবং পরে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জন্মস্থান টেনে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হিন্দুদের মনে অবিশ্বাসের বীজ বপন করেছেন। বক্তারা আরও বলেন, নেপাল প্রধানমন্ত্রী একটি বৃহৎ শক্তির উস্কানিতে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন।
গত ১৩ জুলাই ভানু জয়ন্তী উপলক্ষে নেপালের প্রধানমন্ত্রী নিজের বাসভবনে এক কর্মসূচির সময় দাবি করেন, ভগবান শ্রী রামের জন্মস্থান অযোধ্যা নয়, নেপালের বীরগঞ্জের পশ্চিমে অবস্থিত থোরিতে। অলি আরও বলেন, বাল্মিকি আশ্রমও নেপালে অবস্থিত। অলির এইসব বক্তব্য বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি হিন্দুদের বিশ্বাসের জায়গায় আঘাত করেছে। এর আগে জাগ্রত হিন্দু সমাজ সদস্যরা নেপাল প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।