Bangladesh
ইফতারে ভেজাল রোধে প্রথম দিন থেকেই অভিযান
রমজানে জনসাধারণ যাতে ন্যায্যমূল্যে ভেজালমুক্ত পণ্য ও ইফতার সামগ্রী কিনতে পারেন সেজন্য মাঠ পর্যায়ে অভিযানে নামবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, র্যাব ও পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে এই সংস্থাগুলো অভিযানে নামে। তবে সে সময় তাদের অভিজ্ঞতাটা তেমন ভালো ছিল না। চকবাজারের মতো ঐতিহ্যবাহী ইফতারের বাজারে পাওয়া যায় পোড়া মবিল, গুলশানের বাজারে ইফতার সামগ্রীর ছিল আকাশচুম্বী দাম। এসবের বিরুদ্ধে অভিযান ও জরিমানা করা হয়। এবার আবারও একইভাবে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে সংস্থাগুলো। ভেজাল সন্ধানের পাশাপাশি করবে বাজার মনিটরিং।
রমজান মাসে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ইতোমধ্যে পুরান ঢাকার ফল বাজারে অভিযান চালিয়েছে র্যাব । নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ওই অভিযানে প্রায় ১০ হাজার কেজির মতো পচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘রমজানের আগে আমরা খেজুরসহ নানা খাদ্যদ্রব্যের কোল্ড স্টোরেজ, গোডাউন ও কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছি। এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করা হয়েছে, তবে বাজারে অন্যান্য ফলের মান ভালো রয়েছে। সবাই নিশ্চিন্তে এগুলো খেতে পারবেন।
পবিত্র রমজান মাসে রাজধানীতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাবে র্যাব। মূলত অভিযান হবে ইফতার ও খাবারকেন্দ্রিক। যাতে কেউ ইফতার পণ্যে কেমিক্যাল কিংবা রঙ ব্যবহার করতে না পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। পাশাপাশি যৌক্তিক মূল্য না নিয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া পুরো বছর ভোক্তাদের সন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও মাঠে থাকবে রমজানে। তারা মূলত ইফতার সামগ্রী তৈরির পরিবেশ, খাবারের পরিমাণ, দাম, ওজনে কারচুপিসহ নানা বিষয়ে নজরদারি করবে। অভিযানে তাদের সহযোগিতা করবে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন)।