Bangladesh
আইএমএফ হাসিনার নেতৃত্ব চাইছে, বিশ্বব্যাংকও পাশে থাকতে চায়: কাদের
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৪ মে ২০২৩ : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আইএমএফ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা চাইছে। বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পাশে থাকার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টেলিনা জর্জিয়েভা বলেছেন- ‘করোনার পরেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন।’ তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি মডেল রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে ছাই দিয়ে বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে।
বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এ অগ্রগতিই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ। বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশকে চরম ব্যর্থতার অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে হয়েছিল। বিপরীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে। বিএনপির চোখে অনন্য উচ্চতার এ ছবি ধরা পড়ে না। কারণ, তাদের দৃষ্টি এত দূর পর্যন্ত পৌঁছায় না।
গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই বলেই বিএনপি মহাসচিব সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধ-অনির্বাচিত সরকার বলার ধৃষ্টতা দেখাতে পারেন। বিগত সময়ে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। দেশের জনগণ তাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছে। জনগণের রায়ের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আগামী দিনেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে অগণতান্ত্রিক কোনো অপশক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর অথবা অর্পণ এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর থেকেই জাতির পিতা এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সব খাতকে একটি সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সব খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বসভায় আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় তখন এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি সুগভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে।