Bangladesh
ভারত প্রতিবেশী নীতিতে বাংলাদেশকে প্রথম গণ্য করে : প্রণয় ভার্মা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৭ এপ্রিল ২০২৩ : বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক উন্নয়নের পরিপূরক হচ্ছে যখন নয়াদিল্লি তার প্রতিবেশী নীতিতে ঢাকাকে প্রথম গণ্য করে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আজ সত্যিই বহুমুখী এবং পারস্পরিক উন্নয়নের পরিপূরক।’
বৃহষ্পতিবার ভারতীয় হাইকমিশনে ‘ভারত বিচিত্রা’র সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এর বিশেষ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ এমন একটি চমৎকার সম্পর্ক উপভোগ করছে, ‘বিশ্বে যার জুড়ি মেলা ভার।’
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়... আমরা প্রায়ই যেমনটি বলে থাকি, আমাদের কাছে প্রতিবেশী প্রথম, আসলে প্রতিবেশী দ্বিতীয়... বাংলাদেশই প্রথম।’
হাইকমিশনার উল্লেখ করেন যে ভারত যখন জি২০-’র প্রেসিডেন্ট হয়, নয়াদিল্লি সেই গুরুত্বপূর্ণ বহুজাতিক প্ল্যাটফর্মের আলোচনায় যোগ দিতে বাংলাদেশকে বিশেষ অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বৈশ্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা, বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, প্রতিকূলতা উত্তরণ এবং অগ্রগতি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প বিশ্বমঞ্চে শোনা যাবে এবং তা থেকে অন্যরা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারবে।’
ভার্মা বলেন, নয়াদিল্লি জি-টোয়েন্টিতে বিশেষ অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়ে শুধু ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বন্ধুকে সম্মানিতই করেনি বরং অংশীদারিত্ব ও বন্ধুত্ব উদযাপন করছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে আজ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমাদের দু’দেশের নেতৃবৃন্দের প্রভ’ত মাত্রার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
তিনি বলেন, এ ৫০ বছরে ‘ভারত বিচিত্রা’ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সকল গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং মাইলফলককে ধারণ করেছে এবং সকল ভাবাবেগ এবং পারস্পরিক সহানুভূতিরও আধার হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত বিচিত্রা’ বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারতের অবস্থান বাড়াতে একটি মূল্যবান প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর এমপি, বাংলা একাডেমির সভাপতি লেখিকা সেলিনা হোসেন ও মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এবং বেশ ক’জন বিশিষ্ট কবি অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন।