Bangladesh
বাংলাদেশ সীমান্তে শত শত ট্রাক আটকে রেখেছে ভারতীয় কাস্টমস
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২ জুন ২০২২: বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতীয় অংশে আটকে রয়েছে গম বোঝাই শত শত ট্রাক। দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন স্থলবন্দরে আটকে থাকা এসব গমের পরিমাণ প্রায় চার লাখ টন। বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য বিপুল পরিমাণ এই গম অন্তত তিন সপ্তাহ ধরে আটকে থাকলেও ভারতীয় কাস্টমস সেগুলোকে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (২ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।
এদিকে সীমান্তে গম আটকে থাকায় সম্ভাব্য ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করেছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। তাদের আশঙ্কা, গম পরিবহনে বিলম্ব হলে বৃষ্টির কারণে প্রয়োজনীয় এই শস্য পচে যেতে শুরু করবে এবং এতে করে তারা কোটি কোটি রুপি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
সূত্র জানায়, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) গত ১৩ মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই প্রজ্ঞাপনে ভারত থেকে অবিলম্বে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়। মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হছিল। কারণ এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী গম সরবরাহ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অবশ্য ডিজিএফটি গম রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করলেও ভারতের সরকারি নির্দেশনায় জানানো হয়, গত ১৩ তারিখের আগে যেসব ঋণপত্র বা এলসি ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলো যথাসময়ে রপ্তানি করা হবে। তবে এরপরও ১৩ মের আগে চালান সম্পন্ন হওয়া বা অর্থ পরিশোধ করা গম বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কোঅর্ডিনেশন কমিটির (ডব্লিউবিইসিসি) সাধারণ সম্পাদক উজ্জল সাহা বলছেন, ‘মালদহ জেলার মাহাদিপুর স্থলবন্দরে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন গম আটকে আছে। এসব গমের জন্য আমরা গত ১৩ মের আগে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের কাছ থেকে অর্থ পেয়েছি। এই চালান বহনকারী ট্রাকগুলোকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার কোনো কারণ নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভারতীয় রপ্তানিকারক বলেছেন, ডিজিএফটি জোর দিয়ে বলেছে, গত ১৩ তারিখের আগে যেসব চালান রপ্তানির জন্য অনুমতি পেয়েছে সেগুলো বাংলাদেশে পাঠাতে কোনো বাধা নেই। তার অভিযোগ, কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তের স্থল বন্দরে শুল্ক কর্তৃপক্ষ ডিজিএফটি’র আদেশের ওপর জোর দিচ্ছে যে, নিষেধাজ্ঞার আগে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা গমের চালানগুলো রপ্তানি করা যেতে পারে।
ভারতের একজন কাস্টমস কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ডিজিএফটি থেকে একটি নির্দেশনা দরকার। তা না হলে বাংলাদেশে ট্রাক ঢুকতে দেওয়া যাবে না।