Bangladesh
প্রেমের টানে পঞ্চগড়ে আসা ভারতীয় কিশোরীর দেশে প্রত্যাবর্তন
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২: প্রেমের টানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে অবৈধ পথে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আসেন ভারতীয় তরুণী খুসনামা (১৭)। এ ঘটনা জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তাকে আটক করে পুলিশ। পরে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (১৮ বিজিবি) সহায়তায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (২৭৬ বিএসএফ) সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাবা-মায়ের উপস্থিতে তাকে নিজ দেশে (ভারত) ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার পুরাতন বাজারের তেলীপাড়া নামক স্থানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো লাইনের পিলার নম্বর ৪৪২ এর ৭.এস ও ৪৪৩ মেইন পিলার বরাবর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসময় বিএসএফের হাফতিয়া ক্যাম্পের সহকারী কমান্ডার কামাল সিং, পরিদর্শক উপেন্দ্র সিং, প্রমোদ কুমারসহ ভারতীয় গোয়াল পুকুর থানার কনেস্টবল দিলিপ কুমার সরকার, বিজিবি তেঁতুলিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. আব্দুল মোতালেব, তেঁতুলিয়া মডেল থানার এসআই তপন কুমারসহ বিজিবি-বিএসএফ ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেমের টানে ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে পঞ্চগড়ে আসা খুসনামা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপুকুর থানার হরিয়ানা গ্রামের ইসরাইল হোসেনের মেয়ে।
এর আগে, গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে তেঁতুলিয়ার মুড়িমাখা সীমান্ত দিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে তেঁতুলিয়ার সদ্দারপাড়া গ্রামের হাসিনুর রহমানের বাড়িতে ওঠেন ওই কিশোরী। সেই খবর জানতে পেরে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে আটক করে বিজিবিকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিজিবি বিকেলে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই তরুণীর পরিচয় জানায়।
ভারতীয় ওই তরুণীর বাবা ইসরাইল হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ে কীভাবে বাংলাদেশে ঢুকেছে জানি না। প্রশাসনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মেয়েকে নিতে এসেছি।’
ভারতীয় গোয়াল পুকুর থানার কনেস্টবল দিলিপ কুমার সরকার বলেন, ‘বিএসএফ আমাদের খবর দিলে ১৭৬ ব্যাটালিয়নে ওই তরুণীর বাবা-মাকে নিয়ে এসেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশ পুলিশ-বিজিবির মাধ্যমে বিএসএফের হাতে ওই তরুণীকে তুলে দিয়েছে। থানায় নেওয়ার পর আমরা আমাদের সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই তরুণীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।’