Bangladesh
বিএনপির পুনর্র্নিবাচনের দাবি মামা বাড়ির আবদার : কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পুনর্র্নিবাচন, এটা মামা বাড়ির আবদার। এই নির্বাচনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হয়েছে এটা কেউ বলবে না। এই নির্বাচনে কারচুপি, জালিয়াতি করার কোনো সুযোগ ছিল না। যদি নির্বাচনটা কোনো প্রকার জালিয়াতি-কারচুপির হতো তাহলে টার্ন আউট অনেক বেশি হতে পারতো। টার্ন আউট যেখানে ত্রিশেরও নিচে এটা তাহলে কেন? কারচুপি জালিয়াতি করলে তো উপস্থিতি এতো কম হওয়ার কথা না। কারচুপি যাতে না হয় সেজন্য ইভিএমের ডিজিটাল ব্যবস্থা।’
তিনি বলেন, বিএনপি এখন বলার জন্য বলছে, বিরোধিতা করছে। কিন্তু তারাও জানে এই নির্বাচনে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়েছে। ছোট-খাটো বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এটা অত্যন্ত মাইনর। কোনো ধরনের সহিংসতা ছিল না। একেবারেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। রভাট রযটাই রহাক জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছেন।
সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান ও বক্তব্য জানতে চাইলে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পৃথিবীর যারা উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ বলে দাবি করে... আমি আমেরিকার কথা বলি, তাদের কতো পার্সেন্ট লোক টার্ন আউট করে? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনতো দুনিয়ার গণতন্ত্রের সবচেয়ে অ্যারিস্ট্রোকেট (অভিজাত) নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কেমন টার্ন আউট হয়? উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে টার্ন আউট কেমন? এজন্য সেইসব দেশের অবনতি কী ঘটছে, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে?’
তিনি বলেন, টার্ন আউট কম হতে পারে। কারণ ইভিএম আমাদের এখানে প্রথম অভিজ্ঞতা, পুরো ঢাকাজুড়ে ইভিএম এর আগে ব্যবহার হয়নি। নতুন সিস্টেমের একটি বিষয় আছে। ছুটির বিষয় ছিল। এরকম কিছু কিছু অবস্থার উদ্ভব হয়েছে। আর আমাদের মধ্যেও দুর্বলতা অবশ্যই আছে। সেটা আমরা খতিয়ে দেখব। ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করবো।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ করতে সরকার ও আওয়ামী লীগের সহযোগিতা চেয়েছে- এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ঢাকা শহরে বা বাংলাদেশের কোথাও সমাবেশ করেছে আর তাতে আওয়ামী লীগ বাধা দিয়েছে এমন রকানো ঘটনা কখনও ঘটেনি। আওয়ামী লীগ কোথাও সমস্যা সৃষ্টি করেনি বা প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়নি। একটা উদাহরণও নেই।