Bangladesh
বাবার কাছেই থাকবে ছোট মেয়ে, জাপানি মায়ের হেফাজতে বড় মেয়ে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১০ মার্চ ২০২৩: জাপান থেকে আসা দুই শিশুর হেফাজত নিয়ে তাদের বাবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরান শরীফের করা আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ঢাকার জেলা জজ আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে এ সময়ে দু’পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
দুই শিশু নিয়ে বাঙালি বাবা ও জাপানি মায়ের দ্বন্দ্ব নিয়ে আপিল আদালতের স্থিতিবস্থার আদেশের ফলে মায়ের কাছে থাকা বড় মেয়ে, সে তার মায়ের কাছেই থাকবে। আর বাবার কাছে রয়েছে ছোট্ট মেয়ে, সে তার বাবার কাছেই থাকছে। সেই সংগে আদেশে বলা হয়, দুই সন্তানকে নিয়ে বিদেশে যেতে পারবেন না জাপানি মা।
এ বিষয়ে ইমার শরীফের আইনজীবী জানান, আপিল বিভাগের এ আদেশ অমান্য করে শিশুদের মা দুবার শিশুদের নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ জন্য শিশুদের মা এরিকোর আইনজীবী দুঃখ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগে। এ বিষয়ে এরিকোকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।’
শুনানির সময় আদালত বলেছেন, ‘সব সমাধান আদালতে হয় না। দুপক্ষই (শিশুদের বাবা ও মা) ডেসপারেট হলে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণসহ এ আদেশ দেন। আদালতে বৃহস্পতিবার শিশুদের মায়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ শিশির মনির। বাবার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আখতার ইমাম, রাশনা ইমাম ও মোশতাক আহমেদ।
আইনজীবীদের তথ্যমতে, আদালতের অনুমতি ছাড়া জাপান থেকে আসা দুই শিশুকে দেশের বাইরে না নেওয়ার বিষয়ে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের অংশবিশেষ পুনর্বিবেচনা চেয়ে এবং শিশুদের বাবার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে এরিকো নাকানো আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন। আর শিশুদের মায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে শিশুদের বাবা ইমরান আপিল বিভাগে একটি আবেদন করেন।
২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি আইন অনুসারে বিয়ে করেন নাকানো এরিকো ও শরীফ ইমরান। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের সংসারে তাদের তিনটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তাদেও দুটি এখন বাংলাদেশে এবং অপরটি জাপানে তাদের নানীর কাছে।