Bangladesh
ইউএনও ওয়াহিদার অনুভূতি আছে, শক্তি নেই
কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘উনি যখন প্রথম আসেন, তখন উনার ব্লাড প্রেসার ও পালস- এগুলো ঠিক ছিল না। আপনারা মনে করতে পারেন আসার সঙ্গে সঙ্গেই কেন অপারেশন করা হয়নি। কারণ, রোগীকে একটা স্ট্যাবল পজিশনে না নিয়ে অপারেশন করা যায় না। অপারেশনের পরে উনি এখন নিজের নাম বলতে পারছেন, কথা বলতে পারতেন। বর্তমানে উনার অনুভূতি আছে, তবে শক্তি নেই।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু উনার মাথার অংশটা কাটা ছিল এবং ময়লা ছিল অনেক; যার ফলে ওই জায়গাটা ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন আমাদের ভয় হলো ইনফেকশন। যদি ইনফেকশন না হয়, তবে উনার উন্নতিটা স্মুথ হবে।’
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ডা. বদরুল আলম বলেন, ‘ওয়াহিদা খানমের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা স্থিতিশীল, উন্নতির দিকে।
প্রথম যখন উনি আসছিলেন, তখন স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। ব্লাড প্রেসার পালস অস্বাভাবিক ছিল। অপারেশনটা আমরা সাকসেসফুলি করতে পেরেছি। এখন উনার জ্ঞান ফিরেছে, উনি কথা বলতে পারেন এবং চিনতেও পারেন। যখন উনি এসেছিলেন তখন এইটুকু অবস্থাও উনার ছিল না। উনার ডান পাশটা এখনও অবশ আছে। ৭২ ঘণ্টা পরে আমরা চিন্তা করবো আইসিইউ থেকে স্টেপ ডাউন করবো কি করবো না।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও'র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়। বর্তমান তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।