Bangladesh

শিশুশ্রমমুক্ত হচ্ছে কেরানীগঞ্জ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর ২০২২ : ইউনিসেফ বাংলাদেশের উদ্যোগে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা আট অর্জনে ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনে অংশীজন সভা করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সভায় আগামী ৩ বছরের মধ্যে দেশকে শিশুশ্রমমুক্ত করতে পাঁচটি কৌশলগত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, স্থান ও খাতভিত্তিক পরিকল্পনায় এরই মধ্যে রাজধানীর অদূরের কেরানীগঞ্জ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রথম মডেল শিশুশ্রমমুক্ত জেলা গড়ে তোলার কাজ চলছে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে দুই পর্বে শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় অগ্রগতি পর্যালোচনাবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ১৬টি মন্ত্রণালয়সহ উন্নয়ন সংস্থা অংশ নেয়। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাজেরা খাতুন বলেন, গত কয়েক দশকে শিশুশ্রম নিরসনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ। তা সত্ত্বেও দেশের ৫ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রমে জড়িত। ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রমমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধীনে শিশুদের সহিংসতা, অধিকার হরণ ও নির্যাতন থেকে সুরক্ষায় এ পরিকল্পগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
এসময় ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা প্রধান নেটালি ম্যাককাওলি বলেন, শিশুশ্রমমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে সামাজিক কার্যক্রমের পরিধি গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এখন সময়ের দাবি। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিশুদের রেকর্ড রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাপক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ও সহিংসতা প্রতিরোধে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এলিজা কল্পনা বলেন, এসডিজি আটের অধীনে এ বছরেই ইউনিসেফ বাংলাদেশ, শ্রম অধিদপ্তরের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠিত ওই পঞ্চম বৈশ্বিক সভায় এই দুই সংস্থাকে অংশগ্রহণে সহযোগিতা করে ইউনিসেফ। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই কর্মশালা। আমরা চাই শিশুশ্রমকে বিদায় জানিয়ে একটি শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা করতে। এটা হবে এমন একটি পদ্ধতি যা সরকার নিজেই তৈরি করবে এবং তা হবে টেকসই ও মানানসই।