Bangladesh
নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১ এপ্রিল ২০২৪ : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
রোববার (৩১ মার্চ) রাতে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসার খোঁজ খবর রাখছেন।
এরআগের খবওে বলা হয়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সরাসরি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হবে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ম্যাডাম রাত ৩টায় হাসপাতালে পৌঁছেছেন। তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের আরেক সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, হাসপাতালে পৌঁছালে ম্যাডামকে ইমারজেন্সিতে নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর খালেদা জিয়াকে সরাসরি সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তার পুরোনো রোগ লিভার সিরোসিসের জটিলতা বেড়ে যাওয়া তাকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে, শনিবার রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় যান তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। তখন বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।
২৭ মার্চ বিএনপি পক্ষে থেকে জানানো হয়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে পরীক্ষা-নিরিক্ষীর জন্য সেদিন রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে। কিন্তু সেদিন রাত ১২ দিকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া দুপুরের দিকে অসুস্থতা বোধ করেন। এরপর চিকিৎসকরা তার বেশকিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করান। রাতে তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করায় হাসপাতাল না নিয়ে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হবে।’ তবে, প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন ডা. জাহিদ।