Bangladesh
কানাডার বেগম পাড়ার বাড়ির মালিকদের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না: দুদক
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি ২০২২: কানাডার ‘বেগম পাড়া’য় যেসব বাংলাদেশি নাগরিকের বাড়ি রয়েছে, তাদের নামের তালিকা বারবার চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ। কানাডার ‘বেগমপাড়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তাদের কাছে তালিকা আছে’। ওই তালিকা নিয়ে কাজ চলছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কানাডায় বেগম পাড়ায় কাদের বাড়ি রয়েছে, এ বিষয়ে বারবার তালিকা চেয়েও পাচ্ছি না। যিনি এ কথা বলেছিলেন, তার কাছ থেকে তালিকা চেয়েও পাচ্ছি না, আমরা কীভাবে এগিয়ে যাব? তালিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে তো আমাদের কোনো ম্যাকানিজম নেই। আমরা তালিকা পেলে অবশ্যই দেখব। যতটুকু পেয়েছি, তা নিয়ে কাজ করছি।
তিনি বলেন, আর একটি বিষয় হচ্ছে মানি লন্ডারিং বিষয়ে যত উন্নত দেশই হোক তথ্য দিতে চায় না। কারণ তাদের দেশে টাকা যাচ্ছে। তারা বলে মামলা হলে তথ্য দেব। কিন্তু আমাদের মামলা দায়ের করার জন্যই ওই তথ্য প্রয়োজন। কোনো দেশই প্রয়োজনীয় তথ্য দিচ্ছে না।
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার টরন্টোতে কয়েকশ বাংলাদেশি বিলাসবহুল বাড়ি করেছেন। এসব বাড়ির অধিকাংশ সংশ্লিষ্ট পরিবারের নারী সদস্যের নামে। এজন্য এটি ‘বেগমপাড়া’ নামে পরিচিত। সে দেশে অর্থ পাচারকারীদের বেশিরভাগই আমলা, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী। অর্থ পাচারকারীদের তালিকা ও তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে স্বপ্রণোদিত হয়ে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর রুল জারি করেন উচ্চ আদালত।
এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করে সম্পদ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রথম দফায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় দুদক। এরপর কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ক্রয়কারী বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়ে ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টের নির্দেশনায় দুদক থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও পত্রিকায় প্রকাশিত আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে মিস-ইনভয়েসিং, হুন্ডি, ব্যাংক ক্যাশ ট্রান্সফার ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়।