Bangladesh
সব সময় ব্যস্ত হাসিনা, যেখানেই থাকেন না কেন দেশের কাজ সর্বদা আগে
এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন উনি।
সেখানে উনি গেছেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে দিতে।
তবে, দেশের বিষয় সেখান থেকেও উনি ভাবছেন।
সেই দেশের ব্যস্ততার মাঝেও জরুরি ফাইলপত্রে ডিজিটালি স্বাক্ষর করছেন উনি।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এই বিষয়।
আল্ম সংবাদ মাধ্যমকে জানানঃ "প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় জরুরি সব ইলেকট্রনিক ফাইল (ই-ফাইল) পাঠানে জন্য তাঁর কার্যালয়কে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন থেকে বেশ কিছু জরুরি গুরুত্বপূর্ণ ই-ফাইল আজ ডিজিটালি নিষ্পত্তি করেছেন।"
তবে, যুক্তরাষ্ট্রতেও সাংঘাতিক ব্যস্ততম দিন কাটাচ্ছেন হাসিনা।
রোহিঙ্গাদের সাহায্যের বিষয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের অবস্থানের পাশে আছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের ফলে বহু মানুষ গত কিছুদিনে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে শুক্রবার নিউ ই্য়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের বক্তব্য রাখার সময় হাসিনা এই কথাগুলি বলেছেন।
হাসিনা বলেনঃ "এ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরা ও এর সমাধানে বিশ্ববাসীর সহযোগিতা নিশ্চিত করা ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
উনি বলেনঃ " “সমস্ত রাষ্ট্রদূতরা তারা কিন্তু রোহিঙ্গাদের ওখানে যায়। তারা তাদের অবস্থা দেখে, কথা বলে। এরপর প্রত্যেকেই সহানুভূতিশীল মন নিয়েই বিষয়টা দেখেছে।"
উনি বলেন সকল দেশ বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের বিষয়টিতে সহানুভূতিশীল ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
"চীন বা ভারত তাদের কী কথা, কী মত সেটা আমার এত বিবেচ্য বিষয় না। কারণ এটা তাদের যার যার দেশের মতামত। আমাদের দেশে তারা যখন রোহিঙ্গাদের দেখেছেন, তখন তারা প্রত্যেকেই সহানুভূতিশীল, সেটা আমরা দেখেছি। ভারত চীন সকলেই এগিয়ে এসেছে। তারা রিলিফ পাঠাচ্ছে। সব রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে," হাসিনা বলেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে মিয়ানমারে উৎপীড়নের হাত থেকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের রক্ষা করবার জন্য বিষয়টি তুলে ধরেন।
মিয়ানমারে মিয়ানমারে উৎপীড়নের হাত থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষার বিষয় প্রস্তাবটি জাতিসংঘের কাছেও তুলে ধরেন হাসিনা।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে নিজের ভাষণ দেওয়ার সময় হাসিনা তুলে ধরেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজের ঘুরে এসে প্রতক্ষ করা চিত্রগুলির কথা।
সেই অভিজ্ঞতা হাসিনা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেন।
মিয়ানমারে এই মুহূর্তে ঘটনাতে থাকা ঘটনাগুলি বন্ধ করবার জন্য আহ্বান করেন হাসিনা।
হাসিনা নিজের বক্তব্যে মিয়ানমারের বুকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা মানুষদের জন্য ‘সেইফ জোন’ গঠনের প্রস্তাব তুলে ধরেন।
হাসিনা বলেনঃ "আমরা এই মুহূর্তে নিজ ভূখণ্ড হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত ৮ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছি।”
উনি বলেন দেখতে হবে যেন এই মানুষেরা নিরাপদভাবে নিজের দেশে ফিরতে পারেন।
হাসিনা বলেন ওনার সরকার দেশের মাটিতে মানুষের উন্নতি করতে চান।
“আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমরা অর্থনৈতিক উন্নতি চাই, মানব ধ্বংস নয়, মানব কল্যাণ চাই," হাসিনা বলেন।
হাসিনা বলেনঃ "আমরা মনে করি শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য দারিদ্র্য, ক্ষুধা, নিরক্ষরতা এবং বেকারত্ব দূর করা অত্যন্ত জরুরি।”
গত ২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা মানুষ এই দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
তারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পরে এই দেশে পালিয়ে এসেছেন।