Bangladesh
মেডিকেল ভর্তির প্রশ্নফাঁস: ৭ চিকিৎসকসহ গ্রেফতার ১২
ঢাকা, ১৩ আগস্ট ২০২৩ : মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত চিকিৎসকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শনিবার এক বার্তায় এ তথ্য জানায় তারা।
এ বছরের পরীক্ষা কি না- এমন প্রশ্নে পুলিশের এ বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, অতীতের প্রশ্নফাঁসের মামলায় তদন্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন।
এবার সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির পরীক্ষা গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এবার পরীক্ষা দেন এক লাখ ৩৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। সারা দেশের ১৯টি কেন্দ্রে ৫৭টি ভেন্যুতে এক ঘণ্টা সময়ের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতির পরীক্ষায় অংশ নেন পরীক্ষার্থীরা।
দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের চার হাজার ৩৫০টি আসন এবং ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছয় হাজার ৭৭২টি আসনের জন্য প্রতিযোগিতা করেন তারা।
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত সাত চিকিৎসকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শনিবার রাতে সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত সাতজন চিকিৎসকসহ প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
এর আগে চলতি বছরের ৯ মার্চ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটনু পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। তার নাম ছিলো মো. মিরাজ হোসেন তুহিন। রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড টিম।
ওইদিন এক সংবাদ সম্মেলনে ই-ফ্রড টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা বলেন, নিয়মিত অনলাইন মনিটরিং করার সময় ফেসবুকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পোস্ট দেখা যায়। ওই পোস্টে দেখা যায়, প্রতারক চক্রের সদস্যরা ভুয়া আইডি খুলে বিভিন্ন মেডিকেল ভর্তি সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপ ১০০ শতাংশ কমন প্রশ্নপত্র দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে তাদেরকে ইনবক্স করতে বলে।
ইনবক্সে কেউ মেসেজ করলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের জন্য টাকা দাবি করছে। এরপর অগ্রিম হিসেবে কিছু টাকা তাদের বিকাশ ও নগদ এর মাধ্যমে দিতে বলে। এভাবে প্রতারক চক্র প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।