Bangladesh
দুর্নীতি-সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা মন্ত্রীদের
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ : নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা দায়িত্ব নিয়েই দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
কেউ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন, কেউ বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে। আবার কেউ বলেছেন বাংলাদেশে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। বেশিরভাগ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর কথায় সিন্ডিকেট ও দুর্নীতি বন্ধ করে জনবান্ধব সরকার গঠনের বার্তা এসেছে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীসহ ৩৬ জনকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভা। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রথম অফিস করেছেন রোববার ১৪ জানুয়ারি। প্রথম দিনই বেশিরভাগ মন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা করার বার্তাও দিয়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখার আশার বাণীও শুনিয়েছেন।
প্রথম কার্যদিবসেই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বলাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, আমাদের দেশের বড় সমস্যা দুর্নীতি। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের কথায় একটি পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও এ বিষয়ে বলা হয়েছে। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা দুর্নীতি এবং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যে বার্তা দিয়েছেন সেটি কতটা বাস্তবায়ন হয়, ভবিষ্যতেই দেখা যাবে।
প্রথম দিনই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের এ ধরনের মন্তব্য পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আভাস তো একটা দিচ্ছেই। সেই আভাসটা বাস্তবায়ন কতটুকু হয়, সেটি ভবিষ্যতে দেখতে হবে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের মন্তব্যগুলোকে স্বাগত জানাই। আমাদের দেশে দুর্নীতি একটি বড় সমস্যা। সিন্ডিকেট করে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানা হয়, সেটাও একটা সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করবেন, এটাই আমার প্রত্যাশা।