Bangladesh
সনাতন ধর্মীয় উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দাবি
পাশাপাশি বাংলাদেশ সনাতন ধর্মীয় উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বর্তমান সংস্কৃত টোল চতুষ্পাঠী ও কলেজে নিয়োজিত শিক্ষকদের মাসিক বেতন বৃদ্ধি করতে হবে।
এছাড়া অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সংস্কৃতি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলনসহ সংস্কৃত ভাষা চর্চা এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেব-দেবীর পূজা ব্রাহ্মণ করবেন। সেই সঙ্গে মন্দিরের পুরোহিতদের সরকারি কোষাগার থেকে সম্মানী প্রদান ও মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।
বক্তারা বলেন, শত শত বছর পূর্বে রাজা বল্লাল সেনের শাসনামলে ভারতবর্ষে ব্রাহ্মণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর থেকেই শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের নিয়ে কোনো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে আমাদের জানা নেই বা কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। সনাতন ধর্মালম্বীদের কল্যাণে বাংলাদেশ আমরা ব্রাহ্মণ সম্মেলন করতে সক্ষম হয়েছি। তারা বলেন, সমাজের শিক্ষা-দীক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় উন্নয়নে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখায় এদেশের জনগণ ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়কে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যখন মানুষ উশৃঙ্খল জীবন যাপন করত, তখন ব্রাহ্মণরা বিভিন্ন জায়গায় সংস্কৃত কলেজ, মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে সারা বিশ্বকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ব্রতী ছিল। সংস্কৃত শিক্ষা ব্যবস্থা বিলুপ্তির ফলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমাদের শাশ্বত ধর্মগ্রন্থ শুদ্ধরূপে চর্চা করতে পারছি না। এর ফলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সন্তানরা আজ ধর্মবিমুখকতায় পরিণত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদের সভাপতি নিরঞ্জন ভট্টাচার্য, মহাসচিব বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, উপদেষ্টা জীবন লাল গোস্বামী, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চক্রবর্তী, অধ্যক্ষ অহিভূষণ চক্রবর্তী, নির্বাহী সভাপতি অসিু কুমার মুকুটমণি, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাগর কৃষ্ণ চক্রবর্তী প্রমুখ।