Bangladesh
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা: সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো ডাস্টবিনে লাশ ফেলার দৃশ্য
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩ এপ্রিল ২০২৪: প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে মা বিলকিস বেগমের সঙ্গে কাগজ কুড়াতে বের হয়েছিল সাত বছরের পথকলি সুখি। মুসল্লিদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার আসায় রাত ১২টার দিকে মেয়েকে জেনারেল হাসপাতালের গেটে রেখে বিলকিস চলে যান আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেটে। কিন্তু প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফিরে তিনি আর সুখিকে খুঁজে পাননি।
প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর পথকলি সুখির লাশ মেলে সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিনে। শিশু সুখি ওরফে নাসরিনকে হত্যার পর ডাস্টবিনে ফেলার সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে নগরের কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোডে ফলমণ্ডি এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজে।
ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এক ব্যক্তি ভ্যানে বস্তা ও ঝুড়ি ভর্তি করে ফলমণ্ডি এলাকায় নিয়ে যান ধর্ষণের পর হত্যার শিকার শিশু সুখিকে। মানুষের চোখের আড়াল করতে তাকে ঢাকা দেওয়া হয় বালতি দিয়ে। পরে বস্তাভর্তি নিহত শিশুটিকে ফেলে দেওয়া হয় সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিনে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভোরে বাকলিয়ার বউবাজার এলাকা থেকে মীর হোসেন (৩৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার যুবক ভাঙারি মালামাল সংগ্রহকারী এবং সুখিদের পূর্বপরিচিত।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, ‘সুখির মা বিলকিস বেগম কাগজ কুড়ালেও ওইদিন রাতে কিছু সহায়তা পাওয়ার আসায় মেয়েকে রেখে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে ভাঙারি বিক্রেতা মীর হোসেনের সঙ্গে দেখা হয় সুখির। সুখিকে চিপস ও চকলেট কিনে দিয়ে টাইগারপাস এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার লোভ দেখায় মীর হোসেন। একপর্যায়ে আন্দরকিল্লা থেকে রিকশায় উঠিয়ে টাইগারপাস এলাকার পাহাড়ের নিচে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মুখ চেপে ধরে শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ভ্যানযোগে লাশ পাটের বস্তায় ভরে টাইগার এলাকা থেকে কোতোয়ালি থানাধীন বিআরটিসি ফলমণ্ডি ১ নম্বর গলি সংলগ্ন ডাস্টবিনে রেখে চলে যায়।’