Bangladesh
বাংলাদেশ এত সুন্দর কখনই ভাবিনি: আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১ মার্চ ২০২৩ : প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো বলেন, ‘বাংলাদেশ এত সুন্দর হবে, তা কখনোই ভাবিনি।’
আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো আশা প্রকাশ করেন যে, ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস পুনরায় খোলার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়বে।
তিনি বলেন, ঢাকায় তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু হওয়ায় আর্জেন্টিনা খুবই খুশি।’ এ লক্ষ্যে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সফররত আর্জেন্টাইন মন্ত্রী জানান, আর্জেন্টিনা প্রথম ১৯৭৪ সালে ঢাকায় তার দূতাবাস খোলে। ১৯৭৮ সালে সামরিক জান্তার শাসনামলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বনানীতে আর্জেন্টিনা দূতাবাস পুনরায় খোলা হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার সহযোগিতা চান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে।’ লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনার ফুটবল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে খুবই জনপ্রিয় বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। আর্জেন্টিনার সঙ্গে যোগাযোগ জোরদারে বাংলাদেশ সরকার আগ্রহী বলেও জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘ঢাকা বুয়েন্স আয়ার্সের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে খুবই আগ্রহী। বর্ধিত সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। আর্জেন্টিনা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি উচ্চমানের ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য আমদানি পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন, অ্যানিমেল ভেজিটেবল ফ্যাটস অ্যান্ড অয়েল, তৈলবীজ, ফলমূল, দুগ্ধজাত পণ্য ও প্রাকৃতিক মধু আমদানি করতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিল্পায়নের লক্ষ্যে সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বিপণনকেন্দ্র। সরকার শুধু দেশের মধ্যেই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও শক্তিশালী যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলছে।’