Bangladesh
২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাস, ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল প্রস্তুতের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট ২০টি আসন প্রস্তুত করতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সম্প্রতি অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশনা। এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ বেডের আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এর আগে গত সোমবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, দেশের ২৮টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের সেবা দেওয়ার সময় চিকিৎসকদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, চলতি বছর নিপাহ ভাইরাসে আটজন আক্রান্ত হয়েছেন, এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের।
নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে রোগী এসেছে ৮ জন। এরমধ্যে ৫ জন মারা গেছেন। ভাইরাসে আক্রান্তদের ৭০ শতাংশের বেশি মৃত্যু হয়। কাঁচা রস পান করলে, পাখি খাওয়া ফল খেলে এই রোগ হয়। বিশেষ করে বাদুড় এই ভাইরাস বহন করে। বাদুড় খেজুরের রস পান করার পর সেটি মানুষ পান করলে মানুষের শরীরে সেই ভাইরাসটি ঢুকে যায়। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে সুস্থ মানুষ আসলেও নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। তখন মাল্টিপল রোগী হয়ে যায়, দ্রুত ছড়ায়। এটা আমাদের আশঙ্কার বিষয়।
নিপাহ ভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রথমে মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করা। এজন্য আমরা টিভিসিও তৈরি করেছি। পত্রপত্রিকায় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি, আজকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আলাদা হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আমরা একটি বিশেষ ইউনিট তৈরি করেছি, আইসিইউ ইউনিট যেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
‘নিপাহ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নেই। কোনো ভ্যাকসিন নেই, ওষুধও নেই। সিম্পটমেটিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। যেভাবে আমরা করোনার চিকিৎসা দিয়ে আসছিলাম।’