Bangladesh

জাতীয় পতাকা বহনের সুযোগ সবার জীবনে আসে না : রাষ্ট্রপতি

জাতীয় পতাকা বহনের সুযোগ সবার জীবনে আসে না : রাষ্ট্রপতি

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 24 Feb 2020, 12:20 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৪ : স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক জাতীয় পতাকার মান রক্ষা করা সব সৈনিকের পবিত্র দায়িত্ব এবং দেশের এ প্রতীক বহনের দুর্লভ সুযোগ সবার জীবনে আসে না বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, ‘আধুনিকায়নের সঙ্গে প্রযুক্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের সব সদস্যকে (সশস্ত্র বাহিনী) এখন থেকেই প্রয়োজনীয় কারিগরি এবং পেশাগত জ্ঞান অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হবে।’ পরাববার চট্টগ্রামের হালিশহরের আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে জাতীয় পতাকা (ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড) প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আবহমান কাল থেকেই যুদ্ধের ময়দানে জাতীয় মর্যাদার প্রতীক পতাকা বহনের রীতি আছে। পতাকা হলো জাতির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান এবং মর্যাদার প্রতীক। পতাকার মান রক্ষা করা সব সৈনিকের পবিত্র দায়িত্ব। জাতীয় পতাকা বহনের দুর্লভ সুযোগ সবার জীবনে আসে না।’

পতাকা পাওয়া সেনা সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান ও গৌরবের বিষয়। আজ সেই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা আপনাদের হাতে তুলে দেয়া হলো। এই বিরল সম্মান ও গৌরব অর্জন করায় আমি ১, ২, ৩ ফিল্ড ও ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারিকে অভিনন্দন জানাই। কর্মদক্ষতা, কঠোর অনুশীলন ও কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে যে পতাকা আজ আপনারা পেলেন, তার মর্যাদা রক্ষার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে আপনারা সবসময় প্রস্তুত থাকবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই ইউনিটের সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত থেকে জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে পিছ পা হবে না।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘সেনাবাহিনী তার মূল কার্যক্রমের পাশাপাশি সবসময়ই জাতির গঠনমূলক কর্মকানেন্ড নিজেদের নিয়োজিত করেছে। পেশাগত দক্ষতার কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের তদারকিসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব তাদের ওপর দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।’ এ সময় দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও জনকল্যাণমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনীকে অবদান রাখার তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জানিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে সরকার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে আর্টিলারি রেজিমেন্টের উন্নতি সাধনে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে, প্যারেড গ্রাউন্ডে আসার পরে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।

সর্বশেষ শিরোনাম

জাপার সঙ্গে বৈঠকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হয়নি : কাদের Thu, Dec 07 2023

টাইপিংয়ে ভুল, সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন ফেরত পাঠালেন রাষ্ট্রপতি Thu, Dec 07 2023

হরতাল-অবরোধে ককটেলের ব্যবহার বেড়েছে: হাতেনাতে গ্রেফতার ৩৪ Thu, Dec 07 2023

গোপালগঞ্জে দুদিন থাকবেন শেখ হাসিনা Thu, Dec 07 2023

এককভাবে লাঙ্গল নিয়ে নৌকার সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছি: জাপা মহাসচিব Thu, Dec 07 2023

দলীয় নেতাকর্মীদের নৌকার বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই Thu, Dec 07 2023

সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: কাদের Thu, Dec 07 2023

বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা Thu, Dec 07 2023

শাহজাহান ওমরের সমর্থনে ঝালকাঠিতে বিএনপির ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ Wed, Dec 06 2023

বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে নারীকে মারধরের অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে Wed, Dec 06 2023