Bangladesh
করোনায় মারা গেলেন ভাষা সৈনিক ডা. মাজহারুল ইসলাম : প্রধানমন্ত্রীর শোক
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১২ অক্টোবর ২০২০: উপমহাদেশের অন্যতম সার্জন ভাষা সৈনিক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
রোববার (১১ অক্টোবর) সকাল সোয়া নয়টায় তিনি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রবীণ এই চিকিৎসক ও ভাষা সংগ্রামী বারডেমে আইসিইউতে ভর্তি হন।
তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বারডেম হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের অনারারি চিফ কনসালটেন্ট ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষা সৈনিক প্রবীণ অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রোববার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধার সাথে ভাষা আন্দোলনে তার অবদানের কথা স্বীকার করেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রবীণ অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৫২ সালে এমবিবিএস পাশ করেন।
প্রখ্যাত এই চিকিৎসক ১৯৮৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন। রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
মির্জা মাজহারুল ইসলাম মহান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৪৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজে গঠিত প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের তিনি সদস্য ছিলেন।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলায় আহত অসংখ্য ভাষাকর্মীর চিকিৎসা করেন।
যোগ দেন আমতলার জনসভায়। এাছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং আহতদের পাশে চিকিৎসক হিসাবে তার ভূমিকা ছিল উল্লেখ করার মত।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ।
প্রতিমন্ত্রী রোববার এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, প্রথম শহীদ মিনারের পরিকল্পনা ও নির্মাণেও তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন।
মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাঙালি জাতি এ ভাষাসংগ্রামীর নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।