Bangladesh

হানিফ ফ্লাইওভারে পদ্মা সেতুর বাস উঠতে মানা
ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ : গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে পদ্মা সেতুতে যাওয়ার পথ নেই।
কারণ শহরের ভেতর দিয়ে দূরপাল্লার বাস চলার সুযোগ আইনে নেই।
এ কারণে পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়া বেশির ভাগ বাস আসে সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে। এসব বাস হানিফ ফ্লাইওভার পার হয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠে।
আবার গুলিস্তান ও চট্টগ্রাম থেকে আসা দূরপাল্লার যানবাহনও হানিফ ফ্লাইওভার পার হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে। এতে করে ফ্লাইওভারসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতুর গাড়ি হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ পথে চলাচলের জন্য রুট পারমিট পাবে না কোনো বাস-মিনিবাস। ফ্লাইওভারকে কেন্দ্র করে যেসব বাসে অস্থায়ী রুট পারমিট দেওয়া হয়েছিল, তাও বাতিল করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে এসব যানবাহনকে পদ্মা সেতুতে পৌঁছাতে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হবে। যদিও বিকল্প পথ খুব একটা নেই। ফ্লাইওভারের নিচে সড়ক থাকলেও সংকুচিত। ফলে সেখান দিয়ে যাওয়ার সুযোগও কম। এ সংকট কাটাতে বৃত্তাকার সড়কপথ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষজ্ঞরা কথা বলছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় চলাচলকারী বাসের ক্ষেত্রে বড় মাধ্যম হানিফ ফ্লাইওভার। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এ রুটে গাড়ি চলাচলের আবেদন বাড়তে থাকে। বেড়ে যায় বাসের সংখ্যা। নতুন করে চালু হওয়া অনেক বাসের অনুমোদন নেই। কিছু বাস অনুমোদন পেলেও এখন আর চলতে পারবে না।
সায়েদাবাদ থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী ১২টি রুটে আনুমানিক ১ হাজার বাস চলাচল করে। এ ছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে আসা তিনটি রুটের গাড়ি ফ্লাইওভার দিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে পারছে। এসব বাস আগে যেত ফেরি দিয়ে। পদ্মা সেতু চালুর পর ছয় শতাধিক বাস নতুন করে আবেদন করেছে। ইতোমধ্যে এসব চলাচলের অস্থায়ী অনুমোদন (সিøপ) দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পদ্মা সেতুমুখী বাস হানিফ ফ্লাইওভারে উঠতে পারবে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী সালেহ আহম্মেদ সই করা চিঠিতে যাত্রাবাড়ী-পোস্তগলা রুটে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহার না করে রুট পারমিট প্রদানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এরপর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে বাস রুট রেশনালাইজেশনের বিষয়টি উত্থাপন করতে বলা হয়। মন্ত্রণালয় থেকে এ-ও জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করবে না- এ শর্তে রুট পারমিট দেওয়া হবে।’