Bangladesh
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গৌরবের বিষয় : বিশ্বব্যাংক
ঢাকা, ২৬ জুন ২০২২: বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জুনাইদ কামাল আহমেদ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণকে বাংলাদেশের জন্য একটি ‘গৌরবের বিষয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ দেশের (বাংলাদেশ) জন্য একটি গৌরবের বিষয়।’
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক জমকালো উদ্বোধনের আগে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে দেশের যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং পদ্মা সেতু এই খাতকে আরও শক্তিশালী করেছে।
আহমেদ আশা প্রকাশ করেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তির আওতায় বিশ্বব্যাংকের ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু ঋণদানকারী সংস্থাটি হঠাৎ করে প্রতিশ্রুত তহবিল দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলে যে, বিশ্বব্যাংক এই নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত পরিকল্পিত দুর্নীতির ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ খুঁজে পেয়েছে।
অবশ্য কানাডার একটি ফেডারেল আদালত এবং বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন পৃথক তদন্তে পরবর্তীকালে অভিযোগের কোনো ভিত্তি খুঁজে পায়নি। তখন বাংলাদেশ এই প্রকল্পে যেকোনো ধরনের বিদেশী আর্থিক সহায়তা বাতিল করে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি এগিয়ে নেয়ার কথা বলে।
বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এঁই কর্মকর্তা অবশ্য বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ককে গভীর আখ্যায়িত করে বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অধীনে থাকা পাঁচটি সংস্থার মধ্যে একটি বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ গ্যারান্টি এজেন্সি (এমআইজিএ)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশনস)।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে বৈশ্বিক ঋণদানকারী সংস্থাটি খুশি। মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা খুশি যে সেতুটি সম্পূর্ণ হয়েছে। এই সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হতে যাচ্ছে বলে আমরা আনন্দিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এর আগে বলেছিলেন যে, বিশ্বব্যাংককে অবশ্যই ‘ক্ষমা’ চাইতে হবে ও ‘দুঃখিত’ হতে হবে, কারণ তারা পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য অর্থায়ন বাতিল করে বাংলাদেশের সাথে ‘বড় অবিচার’ করেছে।