Bangladesh
আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের বিচার হওয়া উচিত: ভিসি আখতারুজ্জামান
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৬ মার্চ ২০২২: একাত্তরের ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থাকা জরুরি- এ অভিমত ব্যক্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় তৎকালীন সময়ে যে গণহত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিলো, সেই অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের বিচার হওয়া উচিত।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনের পাদদেশে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, ২৫ মার্চের কালো রাতের বীভৎস ইতিহাসের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসই হলো একমাত্র জেনোসাইড বা গণহত্যা কেন্দ্র। কারণ এ ক্যাম্পাস থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানি অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। আজকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো তার দেখানো পথে তার চেতনা ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যাওয়া। যা তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা খুব ভালোভাবেই করছেন।
উপাচার্য আরও বলেন, এটি একটি অগ্নিঝরা মাস। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোনো স্থাপনা ছিল না যা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়নি। এ মহান মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলন ও তার ঠিক চারদিন পরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এ দুটি ঐতিহাসিক ঘটনাই মূলত পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোয় প্রচণ্ড আঘাত হেনেছিল এবং পাকিস্তান রাষ্ট্রের পতনকে অত্যাসন্ন করেছিল। সেদিন তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিল।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ২৫ মার্চ রাত থেকে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। এদিন হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। শুধু ঢাকা শহরে নয়, দেশের অন্যান্য শহরেও এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। যে কারণে বুদ্ধিজীবীদের বিচার স্থগিত ছিল। রাজাকার, আলবদরদের বিচার আমরা দীর্ঘদিন করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা মানে বাংলাদেশকে ১৯৪৭ এর চেতনায় ফিরিয়ে নেওয়া।
এদিন রাত ৯টায় জগন্নাথ হলে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও গণহত্যায় মৃত্যুবরণকারী দেশপ্রেমিকদের আত্মার শান্তি কামনায় বিভিন্ন উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হয়।