Bangladesh
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে জাতিসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধুনো
ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ : জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে।
এসময় কাশ্মীর ইস্যু টেনে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে ‘মুসলিমবিদ্বেষী’ বলে অভিযুক্ত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জবাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে পাকিস্তান সরকারকে রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন ভারতের এক তরুণ কূটনীতিক।
ভারতের প্রতি আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখা ইমরান খানের জন্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে যেন আগুন ঝরিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতকে ‘মুসলিমশূন্য’ করতে চান বলে অভিযোগ করেন পাকিস্তানের সরকারপ্রধান। করোনার কারণে নিউইয়র্কে যাননি ইমরান খান। এর বদলে পূর্বে ধারণ করা ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। এতে জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক ইসলামভীতি এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে দুর্নীতিবাজ অভিজাতদের ব্যাপক লুটপাট প্রসঙ্গে কথা বলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী।
ইমরান খান বলেন, সব প্রতিবেশীর মতো পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গে শান্তি চায়। কিন্তু স্থায়ী শান্তি কাশ্মীরি বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর নির্ভরশীল। তার দাবি, ওই অঞ্চলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশদ তথ্য-প্রমাণ উন্মোচন করেছে পাকিস্তান। সূত্র: আল জাজিরা, মিন্ট, জি নিউজ
এদিন বিশ্ব সম্প্রদায়কেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। তার অভিযোগ, ভারতের শত কোটি মানুষের বাজার ধরার বাণিজ্যিক স্বার্থে দেশটির মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
শুক্রবার জাতিসংঘ অধিবেশনে ছিলেন না নরেন্দ্র মোদী। তবে ইমরান খানকে কড়া জবাব দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে। অধিবেশনে ‘রাইট টু রেসপন্ড’ সুযোগ ব্যবহার করে বক্তব্য রাখেন তিনি। স্নেহা পাল্টা তির ছুড়ে বলেন, পাকিস্তান সেই দেশ, যে অগ্নিনির্বাপকের ছদ্মবেশে থেকে আগুন জ্বালায়।
পাকিস্তান সন্ত্রাস যে লালন-পালন করে তা সবাই জানে। আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে পাওয়া গিয়েছিল উল্লেখ করে তরুণ এ কূটনীতিক বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিষিদ্ধ সর্বাধিক সন্ত্রাসী আশ্রয় দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে এই দেশের।
এসময় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ভূমিতে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যার কথাও উল্লেখ করেন স্নেহা। তিনি বলেন, পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যে বর্তমান বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গণহত্যা চালিয়েছিল। আমরা ইতিহাসের সেই ভয়াবহ ঘটনার ৫০তম বার্ষিকীকে পা দিয়েছি, কিন্তু (পাকিস্তান) আজও তা স্বীকার করেনি, জবাবদিহিতাও অনেক কম।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন নরেন্দ্র মোদী। এসময় তিনিও পাকিস্তানকে সমালোচনার কড়া জবাব দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।