Bangladesh
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে 'নীতিগত সম্মতি' রাষ্ট্রপতির
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ : সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে “নীতিগত সম্মতি” দিয়েছেন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল রোববার সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ভোটের মাঠে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে অনুরোধ করেন সিইসি। বৈঠকে রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে একমত হন।
সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসি সচিব বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। সকাল ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। আধঘণ্টা পর বঙ্গভবনের বাইরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মো. জাহাঙ্গীর।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব বলেন, “সংবিধানের ১২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কমিশন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে 'ইন এইড'-এর অধীনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার জন্য অনুরোধ করেছে। ১২তম জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বেসামরিক ক্ষমতার কাছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিষয়টি শুনেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সাথে কথা বলবেন এবং খুব শীঘ্রই একটি সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে 'নীতিগতভাবে' সম্মত হয়েছেন। "
তিনি বলেন, "রাষ্ট্রপতি এখন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মতি দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন। এরপর পরিপত্র জারি করে কর্মপরিধি নির্ধারণ এবং কবে কখন মোতায়েন হবে, তা জানানো হবে। এটা মূলত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আমরা আলোচনা করে আলাদা চিঠি পাঠব। তার আলোকে সেখানে সময়, কখন কীভাবে তা নির্ধারণ হবে। সেটা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে পত্রালাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত করবে।"
এর আগে ১১ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছিলেন, “ইসিকে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি (১৩ দিন) পর্যন্ত সেনা মোতায়েন করতে হবে। গতবার প্রায় ৩৫,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার আরও প্রয়োজন হলে সেভাবেই মোতায়েন করা হবে। সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”