Bangladesh
জোটভুক্ত হতে চাইলে তিন দিনের মধ্যে জানাতে হবে ইসিকে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৭ নভেম্বর ২০২৩: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত কোনও দল জোটভুক্ত হয়ে অভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করতে চাইলে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে জোটের তথ্য জানাতে নিবন্ধিত ৪৪টি দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর ২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক একাধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মিলে নির্বাচনি জোট গঠন করা হলে, এ জোটের যেকোনও একটি দলের প্রতীক জোটভুক্ত দলগুলোর প্রার্থীদের বরাদ্দ করা যাবে। এরূপ প্রতীক পেতে হলে জোটকে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে দরখাস্ত দাখিলের বিধান রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী নির্বাচনি জোটের প্রতীকের জন্য তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে হবে।’
বুধবার সন্ধ্যায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময়। বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর প্রতিদ্বন্দ্বী দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং অফিসার। জোটভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট দলের সম্মতি সাপেক্ষে একটি প্রতীক বরাদ্দ দেবেন তিনি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে নির্বাচনে ২০টি দল নিজেদের প্রতীক ছেড়ে দিয়ে ভোট করেছিল প্রধান দুই দলের মার্কা নৌকা আর ধানের শীষ নিয়ে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল তাদের জোটসঙ্গী ১০টি দল। শেষ পর্যন্ত ভোটের আগে ১১টি দল নৌকা প্রতীকে ভোট করতে চাইলেও প্রতীক বরাদ্দের সময় আরও পাঁচটি দলকে নৌকা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। বিএনপির সঙ্গে আরও ১০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ধানের শীষে ভোট করার কথা জানিয়েছিল। তবে প্রতীক বরাদ্দের পর তা দাঁড়ায় আট দলে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালু হওয়ার পর ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি জোটের বড় দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকেই ভোটে অংশ নেয়। এরপর ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনও নৌকা প্রতীক ব্যবহার করে। জাতীয় পার্টি এই জোটে থাকলেও ভোট করে নিজেদের লাঙ্গল প্রতীকে। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের বর্জনে দশম সংসদে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দলের জায়গা পায়।