Bangladesh
সৌদি আরবের হাতে যাচ্ছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০২৩ : চট্টগ্রাম বন্দরে নির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব শিগগিরই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সৌদি আরবের বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘রেড সি গেটওয়ে’ নামে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে শিগগিরই চুক্তি সই করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চুক্তির দিন থেকে ২২ বছরের জন্য এই টার্মিনাল পরিচালনার চুক্তি করবে প্রতিষ্ঠানটি।
এক হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে পিসিটি নির্মাণ করেছে। নতুন নির্মিত এই টার্মিনালে একসঙ্গে তিনটি কনটেইনার জাহাজ ভিড়তে পারবে। পতেঙ্গা এলাকায় নির্মিত এই টার্মিনালের মাধ্যমে বছরে চার লাখ ৪৫ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বন্দর-সংশ্লিষ্টরা।
পাশাপাশি এ টার্মিনালটি বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের বাকি টার্মিনাল থেকে এখানে বেশি ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো যাবে। যেখানে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ৯ মিটার ড্রাফট ও ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের কনটেইনারবাহী জাহাজ ভিড়তে পারে, সেখানে পিসিটিতে অপারেশনে গেলে ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো যাবে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল প্রস্তুত। শিগগিরই পরিচালক নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তবে সৌদি আরবের বন্দর পরিচালনাকারী রেড সি গেটওয়ে নামের প্রতিষ্ঠানকে পিসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিগগিরই চুক্তিবদ্ধ হবো। এরপর প্রতিষ্ঠানটি এখানে বিনিয়োগ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পতেঙ্গা টার্মিনাল পরিচালনার জন্য বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখিয়েছিল। এর মধ্যে সৌদি আরবের এ প্রতিষ্ঠানকেই আমরা উত্তম বলে মনে করেছি।’
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০২২ সালের জুন মাসে এ টার্মিনাল নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়। এখন অপারেটর নিয়োগের অপেক্ষায় আছে। অপারেটর নিয়োগের মধ্য দিয়ে এ টার্মিনালে কর্মযজ্ঞ শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি এই টার্মিনালের অবস্থান। চট্টগ্রাম বন্দরে বাকি টার্মিনাল থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার আগে। যে কারণে আসা-যাওয়া মিলে ১৪ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে। এতে সাশ্রয় হবে জ্বালানি ও সময়। সেই সঙ্গে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফটের (গভীরতা) জাহাজ ভেড়ানো যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বাকি সব টার্মিনালে এ পরিমাণ ড্রাফটের জাহাজ বর্তমানে ভেড়ানো যাচ্ছে না। এতে বেশি কনটেইনার নিয়ে বড় জাহাজ ভেড়ার সুযোগ থাকায় খরচ কমবে পণ্য আমদানি-রফতানিতে।’