Bangladesh
ইসরায়েল থেকে কোনো যন্ত্রই কেনা হয়নি, হবেও না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২০ আগস্ট ২০২১: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ইসরায়েল থেকে বাংলাদেশ ওইসব যন্ত্রাংশ (আড়িপাতার) কখনোই আমদানি করেনি, ভবিষ্যতেও কোনো যন্ত্র কেনা হবে না।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আড়িপাতার যন্ত্র বিক্রির জন্য ইসরায়েল সারা বিশ্বেই মার্কেটিং করে বেড়ায়। বাংলাদেশের সঙ্গে কখনোই ইসরায়েলের বাণিজ্যিক চুক্তি ছিল না এবং এখনো নেই। ফলে এসব যন্ত্র কেনার প্রশ্নই আসে না।’
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অসহায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
১৭ আগস্ট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে, ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ বলেছিল, "ইসরায়েলি ফোন-হ্যাকিং সংস্থা সেলব্রাইট বাংলাদেশে তার প্রযুক্তি বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে-যেখানে তার হার্ডওয়্যারটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং নিখোঁজের অভিযোগে অভিযুক্ত আধাসামরিক ইউনিট ব্যবহার করেছিল। বেসামরিক নাগরিক এবং সাংবাদিকরা - সম্ভবত এই বছরে কোম্পানির পরিকল্পনার দ্বারা প্রভাবিত একটি সিদ্ধান্তে।"
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে ইসরায়েলের বক্তব্যের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি। বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার সদস্য। এ কারণে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
এদিকে, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় দোষী ও প্ররোচনাকারীদের শাস্তি হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে কার ভূমিকা কী ছিল। কেউ যদি ভুল-ভ্রান্তি করে থাকেন, তাহলে তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় দোষী ও প্ররোচনাকারীদের শাস্তি হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যখনই কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। বরিশালের ঘটনা যে পর্যায়ে গিয়েছিল, এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। বর্তমানে বরিশাল শহরে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা নেই। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, ঘটনায় কারও প্ররোচনা ছিল কি-না, তা মামলার তদন্ত শেষে বলা যাবে।’