Bangladesh
দয়া করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামান: বিশ্বনেতাদের প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৯ নভেম্বর ২০২২: যে কোনো যুদ্ধের পরিণাম তথা ভয়াবহতা ও ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, 'আমরা যুদ্ধ এবং সংঘাতের ক্ষতিটা বুঝি। সেজন্য আমি বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানাই, দয়া করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামান।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'যে কোনো যুদ্ধ-সংঘাত রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই না কোনো মানুষ উদ্বাস্তু হোক। কারণ, আমার সব অভিজ্ঞতা আছে।'
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ইন্টারন্যাশনাল উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি (ডব্লিউপিএস) সেমিনার-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
যে কোনো সংঘাত ও দুর্যোগকালে নারীদের দুর্দশা বহুগুণ বেড়ে যায় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। নারীদের শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক এ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারপ্রধান ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন। এসময় বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নে সরকারের নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায়ন না হলে সমাজে নারীর অবস্থান বাড়তো না।
তিনি বলেন, 'আমার সরকার নারী নীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছে। ওই নীতির অধীনে, আমরা মূলধারার আর্থ-সামাজিক কার্যক্রমে নারীদের উন্নয়ন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত এবং তাদের ক্ষমতায়নের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করার ব্যবস্থা নিয়েছি। রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, ব্যবসা, খেলাধুলা, সশস্ত্র বাহিনী ইত্যাদি খাতে তাদের অংশগ্রহণ ও অবদান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে।'
আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা উন্নত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে লিঙ্গ সমতায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। শান্তিরক্ষা, শান্তি-নির্মাণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, 'আমার সরকারই ১৯৯৬ সালে প্রথম মেয়াদে সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের নিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত করেছে। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নারীরা শীর্ষ স্থানে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মোট ৭০৪ জন নারী শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমানে ৩৭৩ নারী সদস্য বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত।'