Bangladesh
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৫ মে ২০২১: সম্প্রতি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি পরিবর্তনের ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে গণভবনে সফররত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) প্রেসিডেন্ট ভলকান বজকির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাতিগত নিধনের শিকার জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে এক মিলিয়নের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা আলোচনায় ছিলাম। যদিও সেখানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছিল না।
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। কিন্তু মিয়ানমারের এই পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের অস্থায়ী আবাসনের জন্য ভাসানচরকে প্রস্তুত করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভাসানচর দ্বীপে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে নেওয়া যেতে পারে। এখন পর্যন্ত সেখানে ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয়েছে।
এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক দিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) প্রেসিডেন্ট ভলকান বজকির।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভলকান বজকির রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এবছর সরকারপ্রধানদের সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন করার চিন্তা-ভাবনার কথা জানান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) প্রেসিডেন্ট ভলকান বজকির। তিনি বলেন, এবছর জাতিসংঘ অধিবেশনের সময় প্রতিটি দেশ দু’জনের একটি প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লিঙ্গ বৈষম্য ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন ভলকান বজকির বলেন, বাংলাদেশ একজন লেডি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ প্রসঙ্গে ইউএনজিএ প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ সারা বিশ্বের সামনে একটি দৃষ্টান্ত।
ভলকান বজকির ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অবকাঠামো নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।