Bangladesh
পরিবেশ রক্ষা করে কারখানা ও অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২২ এপ্রিল ২০২২: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি শিল্প কারখানা ও অন্যান্য সকল স্থাপনা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি শিল্প কারখানা থেকে শুরু করে নির্মাণাধীন অন্যান্য সকল স্থাপনা, সবকিছু পরিবেশ-বান্ধব করার পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও অন্যান্য চার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশ-বান্ধব (গ্রীন) ১০টি তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, তাঁর সরকার প্রতিটি ধাপে পরিবেশ বিবেচনায় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশব্যাপী ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে এবং দেশে যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে, তখনই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে এবং এগুলো সম্পন্ন করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ১০ হাজার ৪৬০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) ও নরসিংদীর সার প্রকল্পস্থান থেকে এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী একই সময়ে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের ১৪ তলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয়সহ আরো চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হচ্ছে মাদারীপুর বিএসসিআইসি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট সম্প্রসারণ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার (বিআইটিএসি) এর আওতায় টুলস ইনস্টিটিউশন স্থাপন এবং বাংলাদেশ স্টিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ালিং কর্পোরেশন (বিএসইসি)’র আওতায় এলইডি লাইট অ্যাসেম্বিং প্লান্ট স্থাপন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এই প্রকল্পগুলোর ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে, শিল্পমন্ত্রণালয় প্রকাশিত শিল্পায়নের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার ওপর একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার অভ্যন্তরীন বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি খাদ্য পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা খাদ্যের মান বৃদ্ধি করতে পারলে, আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়েও তা বিদেশে রপ্তানী করতে পারব। এখন দেশের মানুষের ক্রমক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে।’