Bangladesh
এই বাজেট উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখবে : প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে এটাই আমাদের প্রত্যয় এবং এই বাজেট এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শনিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ একটি উন্নত জীবন চায়, তাঁদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়বো।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার রুপকল্প ২০২১ সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই লক্ষ্য পূরণ এবং আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণের এক কার্যকর মাধ্যম হবে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পেশকৃত জনবান্ধব, উন্নয়নমুখী এই বাজেটটি।
তিনি বলেন, আমাদের এই বাজেট আলোচনায় অনেক সংসদ সদস্য অনেকরকম আলোচনা করেছেন সেগুলো সব আমার কাছে ছিল। আমি মনে করি আমার এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে তাঁদের সেই কথাগুলোর জবাব মোটামুটিভাবে তাঁরা পেয়ে গেছেন।
তাঁর সরকার প্রথম থেকেই দ্রুত বাজেট বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিয়ে আসছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ঊর্ধ্বে ছিল এবং চলতি অর্থবছরে তা রেকর্ড ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, খাদ্য মূল্যস্ফীতি আমরা ৫ দশমিক ৪ ভাগে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির যখন উচ্চহার হয় আর মূল্যস্ফীতি যখন কম থাকে সেই অর্থনীতির সুফল তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছায়, যার সুফল সাধারণ মানুষ ভোগ করে থাকে। যার জন্য দেশের উন্নয়নটা আমরা একদম প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আগামী ২৩/২৪ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধিকে ১০ শতাংশে উন্নীত করা, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৫০ ডলার, রপ্তানি ৭২ বিলিয়ন ডলার, বিদ্যুৎ সরবরাহ ২৮ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত ও অতি দরিদ্রের সংখ্যা ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য আমরা স্থির করেছি। আগামী অর্থবছরের বাজেট এসব লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।