Bangladesh
তাদের অন্তরে এখনো পেয়ারে পাকিস্তান: শেখ হাসিনা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৬ এপ্রিল ২০২২: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাক হানাদার বাহিনী যে অপপ্রচার করত, অত্যাচার চালাত, পঁচাত্তরের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তাই করেছে। তার অনুসারী বিএনপির এক নেতা পার্লামেন্টে বক্তৃতা দিতে চাইলেন। তার বক্তৃতা থেকে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে এরা স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করে না। এরা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না। এদের অন্তরে এখনো ওই পেয়ারে পাকিস্তান রয়ে গেছে। পাকিস্তানের গোলামিটাই তারা পছন্দ করে। বিএনপির এমপি হারুন সাহেবের হৃদয়ে যে পেয়ারে পাকিস্তান, তা তার বক্তৃতায় প্রকাশ হয়েছে।
বুধবার জাতীর ওপর সংসদে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ অনুযায়ী একটি সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের পর মনে হতো বাংলাদেশটা কি স্বাধীন? এই স্বাধীনতা সংগ্রাম ৪৮ সাল থেকেই জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। তিনি ধাপে ধাপে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আজ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আমার এখনো মনে আছে যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছয় দফা দিলেন, ছয় দফা দিয়ে তিনি যখন সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়ান, সেই সময়ে শেখ ফজলুল হক মনিকে নির্দেশ দিলেন যে এই স্লোগানটা ছাত্রলীগের মাধ্যমে মাঠে নিয়ে যাও।
তিনি বলেন, আমাদের পতাকা, জাতির পিতা বললেন, আমাদের পতাকা হবে সুবজের মাঝে লাল। ছাত্রলীগ ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অগ্রসেনা দল। কাজেই যেটা মাঠে নেওয়া হবে সেটা ছাত্রলীগের মাধ্যমেই নেওয়া হতো। সেখানেও কিন্তু নির্দেশটা ছিল এভাবে আমাদের পতাকাটা তৈরি হবে। পাশাপাশি আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বাজানো হয়েছে। প্রখ্যাত গায়ক কলিম শরাফী বন্ধু ছিলেন আমার বাবার। যেকোনো অনুষ্ঠানে কলিম শরাফীকে বলতেন কলিম এই গানটা কর। তার এ চিন্তাটা ছিল যে স্বাধীন বাংলাদেশে এটাই হবে আমাদের জাতীয় সংগীত। এই কথাগুলো কিন্তু সবসময় আমরা জানতাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয়দফা দেওয়ার পর আমরা পরিবারের সদস্যরা জানতাম। তিনি ছয়টা আঙ্গুল দেখিয়ে আমাদের বলতেন আসলে আমাদের মূল লক্ষ্য এটা (একটি আঙ্গুল দেখাতেন)। আমাদের কোনো কোনো সদস্য তার পরিচিত নাম বলেছে। কিন্তু আসল নিউক্লিয়াস ফর্ম করার যে সিদ্ধান্ত সেটা ওই ৬১ সালে ছাত্রনেতা শেখ মনিকেই তিনি (বঙ্গবন্ধু) নির্দেশ দিয়েছিলেন।