Bangladesh
‘জি-২০ সামিটে’ যোগ দিতে দিল্লী গেলেন প্রধানমন্ত্রী : ভারতের সঙ্গে তিনটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হতে পারে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : ‘জি-২০ লিডারস সামিটে’ যোগ দিতে আজ নয়াদিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত সফরকালে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে। ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ এর ১৮তম বৈঠকে যোগ দিতে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টা নাগাদ দেশ ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) নয়াদিল্লীর পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
জি-২০ সামিটে যোগ দিতে দিল্লী গেলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। ছবি : পিআইডি
বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মোমেন বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হতে পারে। সমঝোতা স্মারকগুলো হলো ‘কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা’, ‘সাংস্কৃতিক বিনিময়’ এবং ‘দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে লেনদেনের সরলীকরণ’।
ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং সভাপতিত্বের এই মেয়াদে ভারত বাংলাদেশসহ মোট ৯ টি দেশকে সব জি-২০ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
মোমেন বলেন, ‘ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে অনন্য সম্পর্কের কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেব এই সুযোগ পেয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়’।
প্রধানমন্ত্রী কাল সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
১০ সেপ্টেম্বর, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সাথে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে অংশ নেবেন।
সম্মেলনের শেষ দিনে ‘জি ২০ নিউ দিল্লি নেতাদের ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হবে। মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের গভীর সম্পর্কের জন্য একটি মাইলফলক হবে। ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন।