Bangladesh
প্রয়াত নেতাদের আদর্শে দলকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩১অক্টোবর ২০২২ : প্রয়াত নেতাদের আদর্শ মাথায় রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেহেতু জনগণের সংগঠন, সাজেদা চৌধুরীরর মতো অসংখ্য নিবেদিত নেতাকর্মী এই সংগঠনের হাল ধরেছেন বলেই চরম দুঃসময়ে এই সংগঠন দিক হারায়নি, নীতি আদর্শ নিয়ে এগিয়ে গেছে। আশা করি আমাদের যারা নেতৃবৃন্দ আছেন তারা প্রয়াত নেতাদের আদর্শটা মাথায় রেখেই এগিয়ে যাবেন, এটাই আমি চাই।
রোববার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনে সংসদ উপনেতা মরহুম সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এবং সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমানের ওপর আনা শোক প্রস্তাবে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার এ সংক্রান্ত শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করলে জাতীয় সংসদ তা সর্বসন্মক্রমে গ্রহণ করে। পরে এক মিনিট নীরবতা ও দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের যে অবদান রেখে গেছেন তা ভুলার নয়। চরম দুর্দিনে দলের হাল ধরা ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছেন। বারবারই আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে, পাকিস্তানের সময়, মুক্তিযুদ্ধের সময়। সাজেদা চৌধুরী নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করেছেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ক্যাম্পের নেতৃত্বে ছিলেন যেমন, তেমনই মুক্তিযোদ্ধাদেরও সংগঠিত করেছেন, খোঁজখবর নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার সংগ্রামে যেমন তার অবদান রয়েছে। আমাদের জাতীয় জীবনেও অবদান রয়েছে তার। ১৫ আগস্টের পর তো আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর অকথ্য নির্যাতন নেমে আসে। সাজেদা চৌধুরীও এর শিকার। জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেফতার করে। তার অপারেশন হয়েছিল, গায়ে জ্বর ছিল এই অবস্থায় জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। মতিয়া চৌধুরীকেও গ্রেফতার করে। তিনিও অসুস্থ ছিলেন। তাদের ডিভিশনও দেননি। সাধারণ কয়েদির মতো জেলে ফেলে রাখেন। এ দেশের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে সাজেদা চৌধুরী সবসময় সামনে থাকতেন। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমরা তাকে ফুফু বলে ডাকতাম।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান আইন করেছিল পার্টির রেজিস্ট্রেশনে কারও নাম দেওয়া যাবে না। কিন্তু এ ব্যাপারে সাজেদা চৌধুরী অটল ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছাড়া পার্টি হয় না। আমাদের দলের মধ্যেও কারও কারও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল। তিনি কিন্তু এ ব্যাপারে অটল ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান, তাই এই আইন করেছিলেন।