Bangladesh
সুখী, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কামনা করে নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল ২০২৩ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল অন্ধকার ও বাধা বিপত্তি দূর করে আগামী বছরগুলোতে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এই শুভ নববর্ষের প্রাক্কালে আমাদের প্রার্থনা এই যে, আমরা যেন সমস্ত অন্ধকার ও বাধা বিপত্তি দূর করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি।’
বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ (পহেলা বৈশাখ) উপলক্ষে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে দেশের সব গণমাধ্যমে প্রচারিতব্য এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নানা ধরনের বাধা বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে দেশ আরও একটি বছর পার করেছে। দেশ-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “শুভ নববর্ষ”।
আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যোগ হলো নতুন বছর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি ছিল গতকাল (বৃহস্পতিবার), সেই সঙ্গে বাংলা ১৪২৯ সনের শেষ দিন। পয়লা বৈশাখ সকল সঙ্কীর্ণতা, কূপমণ্ডূকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। বাঙালির মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণে মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ ও বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।
পহেলা বৈশাখ এলেই পরস্পরকে মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন, ব্যবসায়ীর অর্থ পরিশোধ করা, হালখাতা খোলার সেই চিরায়ত দৃশ্যগুলো ঘুরপাক খায়। বৈশাখ মানে গ্রামে ও শহরে মেলায় মানুষের ভিড়। বৈশাখী মেলার অন্যতম অনুষঙ্গ পুতুল নাচ, হাতি-ঘোড়ার সার্কাস, বায়স্কোপ। কোথাও আবার দেখা মেলে লাঠিখেলা, পালাগান, কীর্তনের আসর, নৌকা-বাইচ বা মাঠে কুস্তিখেলার দৃশ্য।
রাজধানীসহ সারাদেশ জুড়ে থাকছে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। রমনা বটমূলে এ দিন ভোরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ছায়ানট।